লক্ষ্মীপুরের পার্বতীনগর ইউনিয়নের দুটি কেন্দ্রে দুই প্রার্থীর সমর্থকদের মধ্যে পাল্টাপাল্টি ধাওয়া ও সংঘর্ষের ঘটনায় ১০ জন আহত হয়েছেন। আজ রোববার দুপুর সাড়ে ১২টার দিকে এ সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে। এ সময় আরিফ হোসেন নামে এক যুবককে আটক করা হয়। একই সঙ্গে প্রিসাইডিং অফিসার মো. সফিক উল্যাহকে প্রত্যাহার করা হয়েছে।
পুলিশ সূত্রে জানা গেছে, আজ দুপুর সাড়ে ১২টার দিকে পার্বতীনগর ইউপির বিঞ্চপুর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় ভোটকেন্দ্রে জাল ভোট ও প্রভাব বিস্তার করা নিয়ে ইউপি সদ্য পদপ্রার্থী আমির হোসেন ও গোলাম মাওলার সমর্থকদের মধ্যে পাল্টাপাল্টি ধাওয়া ও সংঘর্ষ হয়। এ সময় পাঁচজন আহত হন। সংঘর্ষের সময় কিছুক্ষণ ভোটগ্রহণ বন্ধ থাকে। পরে পুলিশ গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনলে ভোটগ্রহণ স্বাভাবিক হয়।
এ ছাড়া মকরধজ সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় ভোটকেন্দ্রে স্বতন্ত্র চেয়ারম্যান পদপ্রার্থী ইকবাল হোসেন ও আবদুল করিম মিজান সমর্থকদের মধ্যে পাল্টাপাল্টি ধাওয়া ও সংঘর্ষ হয়। এ সময় পাঁচজন আহত হন।
জেলা নির্বাচন অফিস, জেলা পুলিশ ও জেলা প্রশাসন সূত্র জানায়, প্রতিটি কেন্দ্রকে ঝুঁকিপূর্ণ ঘোষণা করে সুষ্ঠু ও শান্তিপূর্ণ ভোটগ্রহণের লক্ষ্য ব্যাপক নিরাপত্তার ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে। প্রতিটি কেন্দ্রে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর পাশাপাশি নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেটের টহল অব্যাহত রয়েছে।
পাবর্তীনগর ইউনিয়নের দায়িত্বরত রিটার্নিং অফিসার মো. ছালেহ উদ্দিন বলেন, দায়িত্বে অবহেলার অভিযোগে বিঞ্চপুর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় ভোটকেন্দ্র থেকে প্রিসাইডিং অফিসার মো. সফিক উল্যাহকে প্রত্যাহার করা হয়েছে। আজ দুপুর দেড়টার দিকে তাঁকে প্রত্যাহার করা হয়। তাঁর বিরুদ্ধে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
রিটার্নিং অফিসার আরও বলেন, হাজিরপাড়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় ভোটকেন্দ্রে প্রভাব বিস্তার করার অপরাধে আরিফ হোসেন নামে এক যুবককে আটক করা হয়েছে।