নোয়াখালীর বেগমগঞ্জে ষষ্ঠ শ্রেণির এক স্কুলছাত্রীকে (১২) ধর্ষণের ঘটনা ঘটেছে। গতকাল বুধবার রাতে শিশুটিকে উদ্ধার করে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। সে এখনো চিকিৎসাধীন। এর আগে বুধবার দুপুরে উপজেলার একটি গ্রামে এ ঘটনা ঘটে। এ ঘটনার পর থেকে অভিযুক্ত শামছু উদ্দিন (৩০) পলাতক রয়েছেন।
এ নিয়ে ওই স্কুলছাত্রীর মা আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘গতকাল বুধবার বেলা পৌনে ১১টার দিকে স্থানীয় শামছু উদ্দিন আমাদের ঘরের মোবাইল ফোনে কল করে। কলটি রিসিভ করে আমার মেয়ে (ভিকটিম)। এ সময় শামছু উদ্দিন তাকে প্রেমের প্রস্তাব দেয়। সেই প্রস্তাবে রাজি না হয়ে আমার মেয়ে কল কেটে দেয়। এরপর দুপুর ১২টার দিকে বাড়ির সামনের দোকানে আইসক্রিম ও ট্যাং কিনতে গেলে সেখান থেকে আমার মেয়েকে জোর করে তুলে পাশের একটি কবরস্থানে নিয়ে যায় শামছু উদ্দিন। সেখানেই সে আমার মেয়েকে ধর্ষণ করে। পরে মেয়ে বিষয়টি আমাদের জানায় এবং ওই দিন রাতেই তাকে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়।’
স্কুলছাত্রীর বাবা বলেন, ‘আমার মেয়েকে যে এভাবে নির্যাতন করেছে আমি তার বিচার চাই। কিন্তু শামছু উদ্দিনের পরিবারের সদস্যরা মামলা না করার জন্য আমাদের হুমকি-ধমকিও দিচ্ছেন।’
চিকিৎসাধীন হাসপাতালের গাইনি ওয়ার্ডের চিকিৎসক (ইন্টার্ন) সজীব করিম বলেন, ‘স্কুলছাত্রী এখানে চিকিৎসাধীন রয়েছে। তবে এখন সে আশঙ্কামুক্ত। তার মেডিকেল পরীক্ষা শেষে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’
এ নিয়ে জানতে চাইলে বেগমগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মীর জাহেদুল হক রনি বলেন, ‘বিষয়টি জানামাত্রই হাসপাতালে ভুক্তভোগীর কাছে পুলিশ পাঠানো হয়েছে। ভুক্তভোগীর পরিবারের দেওয়া অভিযোগের ভিত্তিতে আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’