নোয়াখালীর বেগমগঞ্জে সার্টিফিকেটধারী, নিবন্ধিত চিকিৎসক বা সার্জন না হয়েও নিজেকে ডাক্তার পরিচয় দিয়ে শিশু, মেডিসিন ও চক্ষু রোগী দেখায় মো. সাদ্দাম হোসেন (২৮) নামে এক যুবককে গ্রেপ্তার করেছে র্যাব। আজ বৃহস্পতিবার সকালে তাঁকে বিচারিক আদালতের মাধ্যমে কারাগারে পাঠানো হয়েছে। গ্রেপ্তারকৃত সাদ্দাম হোসেন সুবর্ণচরের চরজুবলির চরবাগ্যা গ্রামের খলিল উল্যার ছেলে।
র্যাব সূত্রে জানা যায়, গোপন সংবাদের ভিত্তিতে গতকাল বুধবার চৌমুহনী পৌরসভার উত্তর নাজিরপুরের কাজীবাড়িতে অভিযান চালানো হয়। নিবন্ধিত বা সার্জন না হয়েও নিজেকে চিকিৎসক পরিচয় দিয়ে রোগী দেখা এবং রোগীদের কাছ থেকে প্রতারণা করে টাকা হাতিয়ে নেওয়ার অভিযোগে সাদ্দাম হোসেনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। এ সময় তাঁর কাছ থেকে একটি স্টেথেস্কোপ, ১০টি চশমা, একটি ভিশন কার্ড, ভুয়া প্রেসক্রিপশন, ভুয়া ভিজিটিং কার্ড, ভুয়া চিকিৎসা প্যাড ও দুটি সিমসহ একটি মোবাইল উদ্ধার করা হয়।
সাদ্দাম হোসেনের বিরুদ্ধে বাংলাদেশ মেডিকেল ও ডেন্টাল কাউন্সিল আইন, ২০১০-এর ২৮ (১) / ২৯ (২) তৎসহ পেনাল কোডের ৪১৯ / ৪৬৫ ধারায় এজাহার দায়ের করা হয়েছে।
র্যাব-১১, সিপিসি-৩ নোয়াখালী ক্যাম্পের কোম্পানি কমান্ডার অতিরিক্ত পুলিশ সুপার খন্দকার মো. শামীম হোসেন বলেন, গ্রেপ্তারকৃত আসামির বিরুদ্ধে গতকাল রাতে মামলা দায়ের করা হয়। পরে তাঁকে বেগমগঞ্জ মডেল থানায় হস্তান্তর করা হয়েছে।