ব্রাহ্মণবাড়িয়ার আশুগঞ্জে ১০ টাকার ভাড়া নিয়ে বিরোধের জেরে ফের সংঘর্ষের ঘটনা ঘটেছে। আজ বুধবার সকালে উপজেলার দূর্গাপুর ইউনিয়নের দূর্গাপুর গ্রামে এই ঘটনা ঘটে। এই ঘটনায় অন্তত ২০ জন আহত হয়েছেন। এ সময় স্থানীয় বাজারের ১৩টি দোকানে আগুনে জ্বালিয়ে দেওয়া হয়েছে। ভাঙচুর করা করেছে প্রায় অর্ধশতাধিক দোকান ও বসতঘর।
পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, গত শুক্রবার সন্ধ্যায় ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলার আশুগঞ্জ উপজেলা সদরের রেলগেট থেকে স্কুলছাত্র রিমন সিএনজি করে দূর্গাপুর গ্রামে আসেন। এ সময় সিএসজি চালক রহুল আমিন ২০ টাকার স্থলে অতিরিক্ত ১০ টাকা বেশি ৩০ টাকা ভাড়া দাবি করেন। এ সময় কথা-কাটাকাটির একপর্যায়ে স্কুলছাত্র রিমনকে মারধর করে সিএনজি চালক রুহুল আমিন। পরবর্তীতে রিমন বিষয়টি তাদের দূর্গাপুর গ্রামের হাজী বংশের মিজান মিয়া মেম্বারকে অবগত করে। মিজান মিয়া মেম্বার বিষয়টি সিএনজি চালক রহুল আমিনের বংশ জারু মিয়া বাড়ির প্রধান দূর্গাপুর ইউপি চেয়ারম্যান রাসেল মিয়াকে অবগত করেন। এরপর ফেরার পথে মিজান মিয়া মেম্বারের ওপর হামলা চালান চেয়ারম্যানের লোকজন।
এই ঘটনার জের ধরে জারু মিয়া বাড়ির প্রধান দূর্গাপুর ইউপি চেয়ারম্যান রাসেল মিয়া ও হাজী বংশের মিজান মেম্বারের গোষ্ঠীর লোকজন আজ বুধবার সকালে আবারও সংঘর্ষে জড়িয়ে পড়েন। সংঘর্ষে উভয় পক্ষের অন্তত ২০ জন আহত হয়েছেন। এর মধ্যে হাজী বংশের মিজান মেম্বারের গোষ্ঠীর একজনকে আশঙ্কাজনক অবস্থায় ঢাকায় পাঠানো হয়েছে। এ সময় স্থানীয় বাজারের ১৩টি দোকানে অগ্নিসংযোগ করা হয়। ভাঙচুর করা করেছে প্রায় অর্ধশতাধিক দোকান ও বসতঘর। পরে দমকল বাহিনীর সদস্যরা এসে আগুন নিয়ন্ত্রণে আনেন।
আশুগঞ্জ ফায়ার সার্ভিসের স্টেশন অফিসার মিজানুর রহমান বলেন, ‘অগ্নিকাণ্ডের খবরে আমরা সেখানে গিয়েছি। মুদি, ফার্মেসিসহ বিভিন্ন প্রকার ১৩টি দোকান অগ্নিকাণ্ডে ভস্মীভূত হয়েছে। আমাদের সঙ্গে ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলা শহরের দমকল বাহিনীর দল অংশ গ্রহণ করে।’