লক্ষ্মীপুর সদর উপজেলার বশিকপুরে ইউনিয়ন যুবলীগের সহসভাপতি মো. আলাউদ্দিন পাটওয়ারী নিহতের ঘটনায় ২৯ জনকে আসামি করে হত্যা মামলা দায়ের করা হয়েছে। গতকাল শনিবার দিবাগত রাতে অভিযান চালিয়ে জাবেদ হোসেন নামে এক আসামিকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। মামলায় জেলা যুবদলের যুগ্ম-সাধারণ সম্পাদক এ কে এম ফরিদ উদ্দিনসহ ১৪ জনের নাম উল্লেখসহ আরও ১৫ জনকে অজ্ঞাত আসামি করা হয়েছে।
এর আগে গতকাল রাতে নিহতের ছেলে আকাশ বাদী হয়ে চন্দ্রগঞ্জ থানায় এই মামলা দায়ের করেন।
চন্দ্রগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. মোসলেহ উদ্দিন বলেন, ‘নিহতের ছেলে বাদী হয়ে ১৪ জনের নাম উল্লেখসহ আরও ১৫ জনকে অজ্ঞাত আসামি করে হত্যা মামলা দায়ের করেছেন। এ মামলায় জাবেদ হোসেন নামে এক আসামিকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। অন্য আসামিদের গ্রেপ্তারে অভিযান চলছে। একই সঙ্গে দ্রুত সময়ের মধ্যে আদালতে প্রতিবেদন দেওয়া হবে।’
জানা গেছে, শুক্রবার রাত সাড়ে ১০টার দিকে সদর উপজেলার বশিকপুর এলাকার পদ্মা দিঘিপাড়ে কালভার্টের ওপর বসে মোবাইল ফোনে কথা বলছিলেন। হঠাৎ পাঁচ-ছয়জনের একদল সন্ত্রাসী মুখোশ পরে তাঁকে লক্ষ্য করে এলোপাতাড়ি গুলি ছুড়ে পালিয়ে যায়। এ সময় আলাউদ্দিন পাটওয়ারী গুলিবিদ্ধ হয়ে গুরুতর আহত হন। পরে মুমূর্ষু অবস্থায় তাঁকে উদ্ধার করে সদর হাসপাতালে নেওয়ার পর কর্তব্যরত চিকিৎসক কমলাশীষ রায় মৃত ঘোষণা করেন। এ ঘটনার প্রতিবাদে এবং জড়িতদের গ্রেপ্তারের দাবিতে শহরে বিক্ষোভ মিছিল করেন দলীয় নেতা-কর্মীরা।
নিহত আলাউদ্দিন পাটওয়ারীর বিরুদ্ধে দুটি হত্যা মামলাসহ একাধিক মামলা রয়েছে। তিনি পুলিশের তালিকাভুক্ত সন্ত্রাসী। এ ছাড়া সাবেক বশিকপুর ইউপি চেয়ারম্যান ও বাহিনীর প্রধান কাশেম জিহাদীর সেকেন্ড ইন কমান্ড হিসেবে এলাকায় তাঁর পরিচিতি ছিল।