জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী মো. আকবর হোসাইনকে ফ্লাইওভার থেকে পূর্ব শত্রুতার জেরে নিচে ফেলে দেওয়া হয়েছিল। হয়তো তাঁকে হত্যার উদ্দেশ্যে এমনটি করা হয়েছে। প্রাথমিক তদন্তে এমন আশঙ্কা করছে পুলিশ। তবে চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ (চমেক) হাসপাতালের আইসিইউতে চিকিৎসাধীন এই শিক্ষার্থীর এখনো জ্ঞান না ফেরায় অনেক প্রশ্নের উত্তরই রয়ে গেছে অজানা।
রোববার বিকেল পর্যন্ত এই ঘটনায় কোন মামলা হয়নি বলে জানিয়েছে খুলশি থানা-পুলিশ। তবে এই ঘটনার কারণ ও জড়িতদের ধরতে প্রাথমিক অনুসন্ধান চলছে বলে জানিয়েছেন খুলশি থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা শাহীনুজ্জামান।
তিনি বলেন, আমরা প্রাথমিক কিছু তদন্ত করেছি। খুঁজে বের করার চেষ্টা করেছি ঘটনার নেপথ্যে কী থাকতে পারে। আমাদের প্রাথমিক তদন্তে মনে হচ্ছে এর পেছনে পূর্ব শত্রুতার কোন বিষয় থাকতে পারে। এ ক্ষেত্রে কারও সঙ্গে মনোমালিন্য বা নারীঘটিত বিষয় আছে কি না সেটিও আমরা খতিয়ে দেখছি। এরই মধ্যে ফ্লাইওভারের যে অংশে ঘটনা ঘটেছে সেখানকার সিসি টিভির ফুটেজ আমরা যাচাই বাছাই করছি। আকবরের জ্ঞান ফিরে আসলে অনেক প্রশ্নের উত্তর হয়তো পাওয়া যাবে।
এ বিষয়ে জানতে চাইলে আকবের বাবা মো. আওয়াল আজকের পত্রিকাকে বলেন, `আমাদের কোন ধারণা নেই সে কেন চট্টগ্রামে অসলো। কেই বা তাঁর সঙ্গে এমন করল। সে এখন আইসিইউতে আছে। অবস্থা ভালো না। গতকাল তাঁকে ৫ ব্যাগ রক্ত দিতে হয়েছে।'
আকবরের চাচা মো. হুমায়ুন বলেন, `কোন মোবাইল মানিব্যাগ ছাড়াই সে ঢাকা থেকে বাসে করে চট্টগ্রামে এসেছিল। ব্যাগে ছিল শুধু ল্যাপটপ। সেগুলো তো রয়ে গেছে। তাঁর বুকে ছুরির আঘাত আছে। পেটের বাম পাশে আছে রডের আঘাত। তবে আমরা জানি না আসলে কারা তাঁর সঙ্গে এমন করেছে। কেনই বা করেছে।'
উল্লেখ্য, গত শুক্রবার রাতে সাড়ে ৮টায় নগরীর সিএন্ডবি কলোনীর আখতারুজ্জামান ফ্লাইওভারের সামনের অংশ থেকে নিচে মারধর ও গুরুতর জখম করে ফেলে দেওয়া হয় জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী আকবরকে। এর আগে রাত ৮টায় বাসে করে ঢাকা থেকে চট্টগ্রামে এসেছিলেন তিনি।