প্রেমিকের বিয়ে ঠিক হয়ে গেছে। তাই স্বামী-সংসার ছেড়ে বিয়ের জন্য চাপ দিতে থাকেন হাছিনা বেগম সুমী (২৮)। প্রেমিক রাজি না হওয়ায় সম্পর্ক জানিয়ে দেওয়ার হুমকি দেন। আর তখনই ইট দিয়ে মাথা থেঁতলে দেন প্রেমিক। আলামত গোপন করার জন্য এরপর মরদেহ পুড়িয়ে দেন।
আজ রোববার চট্টগ্রামের পতেঙ্গার প্রধান কার্যালয়ে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে র্যাব-৭-এর অধিনায়ক লেফটেন্যান্ট কর্নেল এসএম ইউসুফ সাংবাদিকদের এ তথ্য জানান।
অভিযুক্ত মাহিবুর কামাল (২৩) রাঙামাটি জেলার কাপ্তাই উপজেলাধীন মুরগির টিলা গ্রামের মনির উদ্দিনের ছেলে। আর নিহত নারী রাঙ্গুনিয়া উপজেলার দোভাষী বাজারে পরিবার নিয়ে ভাড়া বাসায় থাকতেন। গতকাল শনিবার নেত্রকোনা এলাকা থেকে মাহিবুর কামালকে আটক করে র্যাব।
র্যাব-৭-এর অধিনায়ক এসএম ইউসুফ বলেন, ১২ বছর আগে হাছিনা বেগম সুমীর সঙ্গে ইমাম উদ্দিনের বিয়ে হয়। তাঁদের দত্তক নেওয়া ১০ বছর বয়সী একটি কন্যা রয়েছে। হাছিনার সঙ্গে মাহিবুর কামালের সম্পর্ক গড়ে ওঠে। সম্প্রতি মাহিবুরের অন্য জায়গায় বিয়ে ঠিক হয়। এ সংবাদ শুনে সুমী ১১ মার্চ মাহিবুরকে ফোন করে কাপ্তাই উপজেলার একটি স্কুলে দেখা করতে বলেন। রাত আনুমানিক ১০টায় তাঁদের সাক্ষাৎ হয়। মাহিবুরকে বিয়ে করতে বলেন হাছিনা। মাহিবুর রাজি না হলে সম্পর্কের কথা সবাইকে জানিয়ে দেওয়ার হুমকি দেন হাছিনা। বাগ্বিতণ্ডার একপর্যায়ে মাহিবুর ইট দিয়ে সুমীর মাথায় একাধিকবার আঘাত করেন। মৃত্যু নিশ্চিত হলে আলামত নষ্ট করার জন্য সুমীর মরদেহ আগুনে পুড়িয়ে দেন।
এদিকে বাসা থেকে বেরিয়ে ফিরে না আসায় সুমীর পরিবারের লোকজন তাঁকে খোঁজাখুঁজি শুরু করেন। পরদিন বিকেলে কাপ্তাইয়ের একটি স্কুলের পরিত্যক্ত টয়লেটের ভেতর পাওয়া পোড়া লাশ সুমীর বলে শনাক্ত করেন তাঁর পরিবারের সদস্যরা। পরদিন কাপ্তাই থানায় একটি মামলা হয়।
র্যাব কর্মকর্তা এসএম ইউসুফ বলেন, খুনের ঘটনার পর মাহিবুর এলাকা ছেড়ে পালিয়ে নেত্রকোনার মদন থানা এলাকায় অবস্থান করেন। গোপন তথ্যের ভিত্তিতে ঘটনাস্থলে অভিযান চালিয়ে তাঁকে গ্রেপ্তার করা হয়।