বিএনপির উদ্দেশে ইসলামী আন্দোলনের আমির সৈয়দ মুহাম্মাদ রেজাউল করীম বলেছেন, ‘আপনাদের পায়ের নিচের মাটি সরে গেছে। এখনো যদি জনগণের অবস্থা না বোঝেন, নির্বাচন নিয়ে টালবাহানা করেন, তাহলে আপনাদেরও মানুষ উৎখাত করবে।’
আজ মঙ্গলবার বরিশালের ঐতিহাসিক বেলস পার্ক মাঠে ইসলামি ও সমমনা আট দলের বিভাগীয় সমাবেশে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।
পাঁচ দফা দাবিতে ধারাবাহিক কর্মসূচি হিসেবে সমাবেশ শুরুর আগে দুপুর থেকে বিভিন্ন জেলা-উপজেলার নেতা-কর্মীরা আসতে শুরু করেন। বেলা ২টার মধ্যে বেলস পার্ক লোকে পরিপূর্ণ হয়ে যায়।
সৈয়দ মুহাম্মাদ রেজাউল করীম বলেন, ‘দেশ নিয়ে ষড়যন্ত্র চলছে। এ দেশ নিয়ে আর ছিনিমিনি খেলতে দেওয়া যাবে না। যারা ক্ষমতায় গিয়ে দেশের টাকা বিদেশে পাচার করেছে, বারবার উন্নয়নের কথা বলে বিদেশে বেগমপাড়া গড়েছে, তাদের আর সুযোগ দেওয়া হবে না।’
চরমোনাই পীর বলেন, ‘চাঁদাবাজি দেখার জন্য রাস্তায় নামিনি, মানুষ খুন হোক তা দেখার জন্য রাস্তায় নামিনি। জনগণ এই সমাবেশ থেকে চাঁদাবাজদের না বলে প্রত্যাখ্যান করেছে।’
তিনি বলেন, ‘৫৩ বছর দেখেছি। বারবার সিঁড়ি হিসেবে ব্যবহার করেছে, উন্নয়নের কথা বলে বিদেশে বেগমপাড়া গড়েছে। তাদের জন্য পানের দোকানদার পর্যন্ত ব্যবসা করতে পারে না। চাঁদাবাজদের জায়গা বাংলার মাটিতে আর হবে না। একবারের জন্য হলেও ইসলামকে সুযোগ দিন। চাঁদাবাজ আর গুন্ডা থাকবে না।’
জামায়াতে ইসলামীর নায়েব আমির অধ্যাপক মুজিবুর রহমান বলেন, ‘আমরা দরজা বন্ধ করিনি। সব দলকে আহ্বান করছি, আসুন সবাই মিলে দেশে ইসলাম কায়েম করি।’
তিনি বলেন, ‘আল্লাহ কোরআনে দুটি দলের কথা বলেছে। এর একটি আল্লাহর দল। যারা আল্লাহর দলের থাকতে চান, তাঁরা হাত তুলে জানান। যাঁরা আল্লাহর দল করবেন, তাঁরা দুনিয়াতেও পাবেন, আখিরাতেও পাবেন।’
ইসলামী আন্দোলনের নায়েবে আমির মুফতি সৈয়দ মুহাম্মাদ ফয়জুল করীম বলেন, ‘আজকের এ সমাবেশ দেখে কেবল জালিম ও চাঁদাবাজেরাই নাখোশ হতে পারে। মুক্তিকামী মানুষ আশার আলো দেখবে ইনশা আল্লাহ।’
তিনি আরও বলেন, ‘বাংলাদেশে ইসলামি হুকুমত কায়েম হলে দেশের সর্বস্তরের মানুষ শান্তিতে বসবাস করবে। কেউ খাবে তো কেউ খাবে না—তা হবে না ইনশা আল্লাহ।’
সমাবেশে আরও বক্তব্য দেন ইসলামী আন্দোলনের সহকারী মহাসচিব মুফতি সৈয়দ এছহাক মুহাম্মাদ আবুল খায়ের, জামায়াতের সহকারী সেক্রেটারি জেনারেল অ্যাডভোকেট মুয়াযযম হোসাইন হেলাল, কেন্দ্রীয় সদস্য ড. শফিকুল ইসলাম মাসুদ, খেলাফত মজলিসের আমির অধ্যক্ষ মাওলানা আব্দুল বাসির আজাদ, সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব অ্যাডভোকেট জাহাঙ্গীর হোসেন, মহাসচিব মাওলানা জালালুদ্দিন, জাগপার সহসভাপতি রাশেদ প্রধান, সাধারণ সম্পাদক অধ্যাপক ইকবাল হোসেন, নেজামে ইসলাম পার্টির আমির অধ্যক্ষ মাওলানা সরওয়ার কামাল আজিজী, মহাসচিব মাওলানা মুসা বিন ইজহার, খেলাফত আন্দোলনের আমির মাওলানা হাবিবুল্লাহ মিয়াজী, ডেভেলপমেন্ট পার্টির চেয়ারম্যান অ্যাডভোকেট এ কে এম আনোয়ারুল ইসলাম চান প্রমুখ।