হোম > অর্থনীতি > ব্যাংক ও আর্থিক প্রতিষ্ঠান

গত তিন মাসে সবচেয়ে বেশি আমানত পেয়েছে ইসলামী ব্যাংক

‎নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা‎

দেশের ব্যাংক খাতে গত জুলাই-সেপ্টেম্বর প্রান্তিকে মোট আমানত সংগ্রহের পরিমাণ দাঁড়িয়েছে ৪৭ হাজার ৭০০ কোটি টাকা। তার মধ্যে ইসলামী ব্যাংক একাই সংগ্রহ করেছে ২১ হাজার ৩৮৩ কোটি টাকা, যা শতকরা হিসাবে ৪৪ দশমিক ৮৮ শতাংশ। বাংলাদেশ ব্যাংকের সর্বশেষ হালনাগাদ তথ্য পর্যালোচনা করে এসব তথ্য পাওয়া গেছে।

বাংলাদেশ ব্যাংক বলছে, চলতি বছরে জুলাই-সেপ্টেম্বর সময়ে এজেন্ট ব্যাংকিং আউটলেট চালানো ৩০টি ব্যাংক আমানত সংগ্রহ করেছে ৪৭ হাজার ৭০০ কোটি টাকা। সবচেয়ে বেশি আমানত সংগ্রহ করেছে ইসলামী ব্যাংক। ব্যাংকটি আমানত সংগ্রহ করেছে ২১ হাজার ৩৮৩ কোটি টাকা। দ্বিতীয় অবস্থানে থাকা ডাচ্-বাংলা ব্যাংক আমানত সংগ্রহ করেছে ৬ হাজার ৭৫২ কোটি টাকা। আর তৃতীয় অবস্থানে থাকা ব্যাংক এশিয়া সংগ্রহ করেছে ৬ হাজার ২৬৩ কোটি টাকা।

ইসলামী ব্যাংকের চেয়ারম্যান অধ্যাপক ড. এম জুবায়দুর রহমান বলেন, আস্থা ইসলামী ব্যাংকের মূল শক্তি। ইসলামী ব্যাংক বাংলাদেশ চলতি বছরে প্রায় ১৮ হাজার কোটি টাকা নতুন আমানত সংগ্রহের মাধ্যমে ১ লাখ ৮০ হাজার কোটি টাকার আমানতের মাইলফলক অতিক্রম করেছে। এখন পর্যন্ত ব্যাংকিং খাতে আমানতের দিক থেকে শীর্ষে অবস্থান করছে। ব্যাংকে সুশাসন ও গ্রাহকের আস্থা ফিরে আসায় ব্যাংক এ সাফল্য অর্জন করতে সক্ষম হয়েছে। এ ছাড়া ইসলামী ব্যাংক রেমিট্যান্স সংগ্রহেও শীর্ষস্থান ধরে রেখেছে।

বাংলাদেশ ব্যাংকের তথ্য বলছে, জুলাই-সেপ্টেম্বর সময়ে এজেন্ট ব্যাংকিং কার্যক্রম চালানো ৩০টি ব্যাংক মিলিয়ে ঋণ বিতরণ করেছে ৩১ হাজার ৯১০ কোটি টাকা। এর মধ্যে একাই ব্র্যাক ব্যাংক বিতরণ করেছে ২২ হাজার ৭১২ কোটি টাকা।

কেন্দ্রীয় ব্যাংকের তথ্য বলছে, দেশে বর্তমানে ৩০টি ব্যাংক এজেন্ট ব্যাংকিং কার্যক্রম পরিচালনা করছে। এসব ব্যাংকের মোট এজেন্ট ব্যাংকিং অ্যাকাউন্টের পরিমাণ ২ কোটি ৫১ লাখ ৩৯ হাজার ২৯৩ কোটি। এর মধ্যে শীর্ষে থাকা ডাচ্-বাংলা ব্যাংকের অ্যাকাউন্টের সংখ্যা ৭৬ লাখ ১৩ হাজার ৬২১টি। দ্বিতীয় অবস্থানে থাকা ব্যাংক এশিয়ার অ্যাকাউন্ট ৭৪ লাখ ৩৫ হাজার ৭২৭টি এবং ইসলামী ব্যাংকের অ্যাকাউন্টের সংখ্যা ৫৬ লাখ ১০ হাজার ১৪৫টি। আর বর্তমানে দেশে এজেন্ট ব্যাংকিং আউটলেট রয়েছে ২০ হাজার ৪৮৮টি। এর মধ্যে ডাচ্-বাংলা ব্যাংকের ৫ হাজার ৬২০, ব্যাংক এশিয়ার ৫ হাজার ৩৫টি এবং ইসলামী ব্যাংকের এজেন্ট আউটলেটের পরিমাণ ২ হাজার ৭৯২টি।

এদিকে গত জুলাই-সেপ্টেম্বর সময়ে ঋণ বিতরণে শীর্ষে থাকা ব্র্যাক ব্যাংক বিতরণ করেছে ২২ হাজার ৭১২ কোটি টাকা। দ্বিতীয় অবস্থানে থাকা সিটি ব্যাংক বিতরণ করেছে ৩ হাজার ৫৬৩ কোটি টাকা। আর তৃতীয় অবস্থানে থাকা ব্যাংক এশিয়া বিতরণ করেছে ১ হাজার ৬৮৪ কোটি।

বাংলাদেশ ব্যাংকের তথ্য বলছে, ২০২৪ সালের ডিসেম্বরে দেশে এজেন্ট ব্যাংকিংয়ে অ্যাকাউন্টের সংখ্যা ছিল ২ কোটি ৪০ লাখ ৭৩ হাজার ৮৬৫টি। কিন্তু গত সেপ্টেম্বর শেষে এই অ্যাকাউন্ট বেড়ে দাঁড়িয়েছে ২ কোটি ৫১ লাখ ৭ হাজার ১৬৪টি। অর্থাৎ ৯ মাসের অ্যাকাউন্ট বেড়েছে ১০ লাখ ৩৩ হাজার ২৯৯টি।

একই সময়ে আমানত বেড়েছে ৫ হাজার ৯১৫ কোটি টাকা। অর্থাৎ গত ডিসেম্বরে ব্যাংকগুলোর এজেন্ট ব্যাংকিংয়ে আমানত ছিল ৪১ হাজার ৭৮৫ কোটি টাকা। কিন্তু সেপ্টেম্বর শেষে তা বেড়ে দাঁড়িয়েছে ৪৭ হাজার ৭০০ কোটি টাকা।

এক ব্যক্তি ও তিন প্রতিষ্ঠানকে ১৬ কোটি টাকা জরিমানা

সম্মিলিত ইসলামী ব্যাংক উদ্বোধন বৃহস্পতিবার, তোলা যাবে ২ লাখ টাকা

দেশের সবচেয়ে বড় ইসলামি ব্যাংক পেল চূড়ান্ত অনুমোদন

আবারও প্রাইম ব্যাংকের চেয়ারম্যান হলেন তানজিল চৌধুরী

ব্যাংকিং খাতের খারাপ অবস্থার মূলে রাজনীতিকরণ: গভর্নর

সাউথইস্ট ব্যাংকে নতুন এমডি

ব্যাংকের এমডি হতে লাগবে ২০ বছরের অভিজ্ঞতা, বাংলাদেশ ব্যাংকের প্রজ্ঞাপন

এক বছরে খেলাপি ঋণ বেড়েছে ৩ লাখ ৬০ হাজার কোটি টাকা

নির্বাচনের আগে বিদেশ গমনে ব্যাংক কর্মকর্তাদের প্রতি কড়া নির্দেশনা

সরাসরি গ্রাহকসেবা বন্ধ করল বাংলাদেশ ব্যাংক, মানুষের ভোগান্তি