ব্যাংকের ব্যবস্থাপনা পরিচালক (এমডি) ও প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা (সিইও) পদে নিয়োগের ক্ষেত্রে অভিজ্ঞতা, বয়স এবং শিক্ষাগত যোগ্যতার মানদণ্ডকে কঠোর করেছে বাংলাদেশ ব্যাংক। নতুন নির্দেশনায় বলা হয়েছে, প্রার্থীকে কমপক্ষে ২০ বছরের ব্যাংকিং অভিজ্ঞতা থাকতে হবে। এ ছাড়া এমডি পদে নিয়োগের জন্য ডিএমডি বা অতিরিক্ত এমডি হিসেবে মোট তিন বছরের অভিজ্ঞতা থাকা বাধ্যতামূলক। এ বিষয়ে গতকাল বুধবার বাংলাদেশ ব্যাংক একটি প্রজ্ঞাপন জারি করেছে।
ওই নির্দেশনায় এমডি ও সিইও পদে নিয়োগের বয়সসীমা ৪৫ থেকে ৬৫ বছর নির্ধারণ করা হয়েছে। যদিও গত ২৭ ফেব্রুয়ারি জারি করা নির্দেশনার আগে এমডি ও সিইও হওয়ার ন্যূনতম বয়স নিয়ে কোনো সীমারেখা ছিল না। পাশাপাশি অভিজ্ঞতার ক্ষেত্রে ১০ বছরই যথেষ্ট বলে গণ্য করা হতো।
নতুন নির্দেশনা অনুযায়ী, এমডি ও সিইও পদে নির্বাচিত ব্যক্তির শিক্ষাগত যোগ্যতা হিসেবে স্বীকৃত বিশ্ববিদ্যালয় থেকে ন্যূনতম স্নাতকোত্তর ডিগ্রি থাকা আবশ্যক। অর্থনীতি, হিসাববিজ্ঞান, ফাইন্যান্স, ব্যাংকিং, ব্যবস্থাপনা বা ব্যবসায় প্রশাসনের উচ্চতর শিক্ষা অতিরিক্ত যোগ্যতা হিসেবে গণ্য হবে। ডিজিটাল ব্যাংকের প্রধান নির্বাহী পদে তথ্যপ্রযুক্তি বিষয়ে উচ্চতর শিক্ষা বিশেষ গুরুত্ব পাবে। শিক্ষাজীবনের কোনো পর্যায়ে তৃতীয় বিভাগ বা শ্রেণি গ্রহণযোগ্য হবে না। গ্রেডিং পদ্ধতিতে এসএসসি বা সমমান ও এইচএসসি বা সমমান পরীক্ষার জিপিএ ৩.০০-এর কম হলে এবং বিশ্ববিদ্যালয়ের সিজিপিএ ৪.০০ পয়েন্ট স্কেলে ২.৫০-এর কম বা ৫.০০ পয়েন্ট স্কেলে ৩.০০-এর কম হলে তা গ্রহণযোগ্য হবে না।
সঙ্গে সঙ্গে কোনো ব্যাংক, কোম্পানি বা আর্থিক প্রতিষ্ঠানের প্রধান নির্বাহী, চেয়ারম্যান বা পরিচালক হিসেবে অপসারিত ব্যক্তি এমডি বা সিইও পদে নিয়োগ পাবেন না। এ ছাড়া ঋণখেলাপি, করখেলাপি বা আদালত কর্তৃক দেউলিয়া ঘোষিত ব্যক্তি এই পদে নিযুক্ত হতে পারবেন না।
বিশ্বব্যাংকের ঢাকা অফিসের সাবেক মুখ্য অর্থনীতিবিদ ড. জাহিদ হোসেন এ প্রসঙ্গে আজকের পত্রিকাকে বলেন, সাধারণত ব্যাংকাররা ৫৯ বছর বয়সে অবসর নেন। তিন বছরের চুক্তিভিত্তিক নিয়োগ এবং সর্বোচ্চ বয়স ৬৫ বছর পর্যন্ত রাখার নিয়ম সরকারি ব্যাংকে অভিজ্ঞতা ও দক্ষতা কাজে লাগাতে সহায়ক হবে।