হোম > অপরাধ > আফ্রিকা

রক্তপিপাসু যে শহরে জঙ্গলের আইনে চলছে বিচার

একটি বিস্তীর্ণ শহর। শহরটিতে অপরাধ এতটাই ছেয়ে গেছে যে, স্কুলের বাচ্চারা তাদের আসা-যাওয়ার পথে প্রতিদিনই মৃতদেহ পড়ে থাকতে দেখে। এই শহরে ভুক্তভোগীদের জনসমক্ষে পুড়িয়ে মারা হয়। 

যুক্তরাজ্যের আফ্রিকান বংশোদ্ভূত সংগীতশিল্পী মাগুগু নাইজেরিয়ার সেই ভয়ংকর লাগোস শহরে বেড়ে উঠেছিলেন। সম্প্রতি ‘হার্টস সো গুড’ নামে একটি পডকাস্টকে লাগোস শহরের অভিজ্ঞতা বর্ণনা করেছেন মাগুগু। তিনি জানান, শহরটিতে কেউ চুরি কিংবা অন্য অপরাধে অভিযুক্ত হলে কীভাবে তাকে নির্মম বিচারের মুখোমুখি করা হয়। 

মাগুগু বলেন, ‘দেখা যায়, মানুষকে জীবন্ত পুড়িয়ে মারা হচ্ছে, পিটিয়ে মারা হচ্ছে... যেন জঙ্গলের বিচার।’ 

শহরটিতে যদি শোনা যায়—কোনো চোর পালিয়েছে, তবে একটি দল দ্রুত ওই চোরটিকে ধরে মারধর করার জন্য প্রস্তুত হয়ে যাবে। লোকেরা মারধর করার সরঞ্জাম নিয়ে ঘর থেকে বেরিয়ে আসতে শুরু করবে। 

মাগুগু বলেন, ‘আমি মানুষকে মারধর করতে দেখেছি। তারা আপনাকে রাবারে মুড়িয়ে পুড়িয়ে দেবে... এটাই স্বাভাবিক।’ 

মাগুগু দাবি করেন, অপরাধ প্রমাণের তোয়াক্কা না করে শুধু সন্দেহভাজন হিসেবেই অসংখ্য মানুষকে মেরে মৃতদেহটি লাগোসের রাস্তায় ফেলে দেওয়া হয়। স্কুলের পাশের জলাভূমিতে এমন অসংখ্য মৃতদেহ পড়ে থাকতে দেখার অভিজ্ঞতা আছে তাঁর। 

রাস্তার এই বিচার সংস্কৃতি লগোস শহরে ভয়ংকর বাকাসি বয়েজের মতো স্বেচ্ছাসেবী নজরদারি গোষ্ঠীর জন্ম দিয়েছে। তেল সমৃদ্ধ দক্ষিণ-পূর্ব নাইজেরিয়ার রাস্তায় তারা নিয়মিত ছুরি এবং বন্দুক সজ্জিত হয়ে টহল দেয় এবং অভিযুক্তদের নির্মম শাস্তি প্রদান করে। জাদুমন্ত্রের সাহায্যে তারা তাদের গায়ের চামড়া ‘বুলেটপ্রুফ’ করে ফেলেছে, এমন দাবিও করে। 

তবে কোনো প্রমাণ ছাড়াই সন্দেহভাজনদের হত্যা করার মতো ঘটনা নিয়ে অসংখ্য খবর প্রকাশিত হলে বাকাসি বয়েজ সদস্যদের বিরুদ্ধে একটি রাজনৈতিক প্রতিক্রিয়ার সৃষ্টি হয়। ফলে তারা এখন নাম পরিবর্তন করে ‘আনামব্রা স্টেট ভিজিল্যান্ট সার্ভিসেস’ নামে কর্মকাণ্ড চালিয়ে যাচ্ছে। 

সংগীত শিল্পী মাগুগু নাইজেরিয়া ছেড়ে বর্তমানে যুক্তরাজ্যে বসবাস করছেন। পডকাস্টে স্বীকার করেছেন, লাগোস শহরে বেড়ে ওঠার সময় তিনি একেবারে দুধে ধোয়া তুলসী পাতা ছিলেন না। স্কুল ফাঁকি দেওয়া তাঁর নিয়মিত কর্মকাণ্ডের অংশ ছিল। নিজের চেয়ে বয়সে বড় এমন কিশোরদের সঙ্গে মাদকসেবন কিংবা মেয়েদের পেছনে ঘুরঘুর করারও বাতিক ছিল তাঁর। 

তিনি বলেন, ‘আমার বয়স যখন প্রায় ১৩ বছর, তখন আমার বেশির ভাগ বন্ধু ছিল ১৮-১৯ বছর বয়সী। আমরা মাদক সেবনে যেতাম, মেয়েদের তাড়া করতাম।’ 

তবে সেই জীবন থেকে হঠাৎ করেই বিরতি নিয়েছিলেন মাগুগু। এর ফলে সংগীতের প্রতি আকৃষ্ট হন তিনি এবং একসময় সংগীতশিল্পী হিসেবে ক্যারিয়ার শুরু করেন। সংগীতে ইংরেজি ও নাইজেরিয়ার হাউসা উপভাষাকে দ্রুত গতির উচ্চ-শক্তি শৈলীতে মিশ্রিত করে শ্রোতাদের মধ্যে যথেষ্ট আবেদন সৃষ্টি করতে সক্ষম তিনি।

সোনা খুঁজতে গিয়েছিল দুই কিশোর, খনি ধসে চাপা পড়ে হলো মৃত্যু

বেনিনে সামরিক অভ্যুত্থান ঠেকিয়ে দিল সরকার অনুগত সেনারা

দক্ষিণ আফ্রিকায় হোস্টেলে ঢুকে এলোপাতাড়ি গুলি, নিহত অন্তত ১১

মুসলিম ব্রাদারহুড নিষিদ্ধের নির্দেশ ট্রাম্পের, নেপথ্যে সুদানকেন্দ্রিক আরব বিশ্বের নয়া ভূরাজনীতি

নামিবিয়ার নির্বাচনে আবারও জয়ী ‘অ্যাডলফ হিটলার’

রাশিয়ার হয়ে যুদ্ধে ১৭ যুবককে প্ররোচনার অভিযোগ—জ্যাকব জুমার মেয়ের পদত্যাগ

ভোটে পরাজয় টের পেয়ে গিনি বিসাউয়ের প্রেসিডেন্টই কি ঘটালেন সামরিক অভ্যুত্থান

গিনি বিসাউয়ে সামরিক অভ্যুত্থান, সেনাবাহিনীর ক্ষমতা দখল, প্রেসিডেন্ট বন্দী

এল-ফাশেরে ৩ দিনে ২৭ হাজার মানুষকে হত্যা করেছে আরএসএফ: দারফুরের গভর্নর

১০ হাজার বছর পর জেগেছে ইথিওপিয়ার আগ্নেয়গিরি, ভারতের দিকে ধেয়ে আসছে ছাই