রাজধানীর ঢাকায় বাংলাদেশ কৃষি উন্নয়ন করপোরেশনের (বিএডিসি) প্রধান কার্যালয়ের সেমিনার হলে ‘কমিউনিটি সিড ব্যাংক অ্যান্ড অ্যাডাপটিভ রিসার্চ’-এর ওপর একটি কর্মশালা অনুষ্ঠিত হয়েছে। বিএডিসির পার্টনার প্রকল্পের অর্থায়নে ও গবেষণা সেলের উদ্যোগে আয়োজিত বুধবারের (২৪ সেপ্টেম্বর) এই কর্মশালায় গাজীপুর কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক, কৃষিসংশ্লিষ্ট বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানের প্রতিনিধি, বিএডিসির বিভিন্ন বিভাগ, উইংপ্রধানসহ মাঠপর্যায়ের কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।
কর্মশালায় প্রধান অতিথি ছিলেন বিএডিসির চেয়ারম্যান (গ্রেড-১) মো. রুহুল আমিন খান। তিনি বলেন, দেশের সামগ্রিক কৃষি ব্যবস্থাপনায় বিএডিসির ভূমিকা নিঃসন্দেহে অনস্বীকার্য। তিনি আরও বলেন, ম্যান্ডেট অনুযায়ী গবেষণাক্ষেত্রেও বর্তমানে বিএডিসি জোরালো ভূমিকা রাখছে। গবেষণা সেলের মাধ্যমে এ পর্যন্ত ফসল ও ফলের ৩৯টি জাত অবমুক্ত করা হয়েছে এবং বর্তমানে ১৪টি বিষয়ের ওপর গবেষণা কার্যক্রম চলমান রয়েছে।
বিএডিসির চেয়ারম্যান আরও জানান, বিএডিসির মাধ্যমে ১০টি কমিউনিটি বীজ ব্যাংক চালু করা হয়েছে। এই বীজ ব্যাংকগুলোর মাধ্যমে বিলুপ্তপ্রায় স্থানীয় জাতগুলো পুনরুদ্ধারে বিএডিসি কাজ করে যাচ্ছে এবং ৭০টি স্থানীয় ধানের জাত পুনরুদ্ধারের জন্য প্রয়োজনীয় গবেষণা কার্যক্রম চলমান রয়েছে। তিনি বলেন, কাটারিভোগ, কালিজিরা, তুলসীমালা, রাতাবোরো ও গাইঞ্জা—ইত্যাদি জাতের ওপর তিনটি বীজবর্ধন খামারে গবেষণা কার্যক্রম চলমান রয়েছে।
রুহুল আমিন খান মত প্রকাশ করেন, দেশের বিভিন্ন অঞ্চলে এখনো অঞ্চল উপযোগী স্থানীয় ধানের চাষ সীমিত পরিসরে করা হচ্ছে। কমিউনিটি বীজ ব্যাংকের মাধ্যমে গবেষণা কার্যক্রম অব্যাহত থাকলে স্থানীয় জাত পুনরুদ্ধারের পাশাপাশি কৃষকেরাও এ ক্ষেত্রে চাষাবাদে অধিক উৎসাহিত হবেন।