মাইক্রোক্রেডিট রেগুলেটরি অথোরিটি (এমআরএ) বার্ষিক প্রতিবেদন-২০২২-এর মোড়ক উন্মোচন করা হয়েছে। আজ রোববার অথোরিটি ৬৮ তম পরিচালনা বোর্ড সভায় এই মোড়ক উন্মোচন করা হয়।
বাংলাদেশ ব্যাংকের গভর্নর ও এমআরএয়ের পরিচালনা বোর্ডের চেয়ারম্যান আবদুর রউফ তালুকদার প্রতিবেদনটির মোড়ক উন্মোচন করেন। অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন পরিচালনা বোর্ডের সদস্য আর্থিক প্রতিষ্ঠান বিভাগের সচিব শেখ মোহাম্মদ সলীম উল্লাহ, পিকেএসএফের ব্যবস্থাপনা পরিচালক নমিতা হালদার, এনজিও বিষয়ক ব্যুরোর মহাপরিচালক শেখ মো. মনিরুজ্জামান ও সদস্যসচিব এমআরএয়ের এক্সিকিউটিভ ভাইস-চেয়ারম্যান মো. ফসিউল্লাহ এবং অথোরিটি বিভিন্ন কর্মকর্তা।
এমআরএয়ের অথোরিটি আইন-২০০৬ এর ধারা ৪৫ অনুযায়ী প্রতি বছর শেষ হওয়ার পরবর্তী ৩ মাসের মধ্যে কর্তৃপক্ষ চলে যাওয়া বছরে সম্পাদিত কার্যাবলির বিবরণী সংবলিত একটি বার্ষিক প্রতিবেদন সরকারের কাছে উপস্থাপনের বাধ্যবাধকতা রয়েছে। এ আলোকে ২০২২ পঞ্জিকাবর্ষে আলোচ্য প্রতিবেদনটি প্রকাশ করে। এমআরএয়ের সার্বিক কার্যাবলির নানাবিধ দিকসমূহ এবং গ্রাহক স্বার্থ সুরক্ষা ও ক্ষুদ্রঋণ প্রতিষ্ঠানের টেকসই সম্প্রসারণে গৃহীত উদ্যোগসমূহ বার্ষিক প্রতিবেদন ২০২২ এ সন্নিবেশিত হয়েছে।
প্রতিবেদনে ১২টি অধ্যায়ের মাধ্যমে এমআরএ ও ক্ষুদ্রঋণ খাত সংশ্লিষ্ট সার্বিক তথ্যসমূহ সাজানো হয়েছে যার প্রথম অধ্যায়ে এমআরএয়ের ভিশন ও মিশন, পরিচালনা বোর্ড, সাংগঠনিক কাঠামোর বর্তমান অবস্থা বর্ণনা করা হয়েছে। দ্বিতীয় অধ্যায়ে উঠে এসেছে বাংলাদেশ ক্ষুদ্রঋণ খাতে সার্বিক চিত্র। তৃতীয় অধ্যায়ে এমআরএয়ের বিভিন্ন শাখা কর্তৃক ২০২২ সনে সম্পাদিত কার্যাবলির বিস্তারিত তুলে ধরা হয়েছে। চতুর্থ, পঞ্চম, ষষ্ঠ এবং সপ্তম অধ্যায় যথাক্রমে মন্ত্রণালয়ের সঙ্গে সম্পাদিত বার্ষিক কর্মসম্পাদন চুক্তি, জাতীয় শুদ্ধাচার কৌশল বাস্তবায়নে এমআরএ, ইনোভেশন কার্যক্রম এবং তথ্য অধিকার আইন অনুযায়ী নাগরিকদের তথ্য সেবা প্রদানে উদ্যোগসমূহ বর্ণিত হয়েছে।
অষ্টম, নবম, দশম এবং একাদশ অধ্যায়ে প্রতিবেদনটিতে উঠে এসেছে সামাজিক উন্নয়নমূলক কার্যক্রমে ক্ষুদ্রঋণ প্রতিষ্ঠানের অবদান, বিভিন্ন দিবস পালনে এমআরএ, এসডিজি লক্ষ্য বাস্তবায়নে এমআরএয়ের ভূমিকা এবং সনদপ্রাপ্ত প্রতিষ্ঠানের তালিকা। সর্বশেষ অধ্যায়ে এমআরএয়ের নিরীক্ষা প্রতিবেদন ২০২১-২০২২ সন্নিবেশিত করা হয়েছে।