চট্টগ্রাম বন্দরের নতুন মাশুলের হার এক মাসের জন্য স্থগিত করা হয়েছে। গত শনিবার বন্দর মিলনায়তনে অর্থনৈতিক সম্পর্ক বিভাগ (ইআরডি) আয়োজিত কর্মশালা শেষে এ কথা জানান নৌপরিবহন উপদেষ্টা ব্রিগেডিয়ার জেনারেল (অব.) এম সাখাওয়াত হোসেন। ‘কাস্টমস ও বন্দর ব্যবস্থাপনা-সম্ভাবনা, সমস্যা ও ভবিষ্যৎ’ শীর্ষক এ কর্মশালায় অংশ নেন বন্দরসংশ্লিষ্টরা।
উপদেষ্টা বলেন, ‘শুল্ক নিয়ে কথা হচ্ছে, এটি আরও এক মাস পিছিয়ে দেওয়া হচ্ছে। এ নিয়ে বন্দর চেয়ারম্যানের সঙ্গে কথা হয়েছে। আমরা সম্মত হয়েছি, এক মাস পিছিয়ে দেব।’
এর আগে ১৪ সেপ্টেম্বর রাতে জারি করা প্রজ্ঞাপন অনুযায়ী বন্দরের বিভিন্ন সেবা খাতে সর্বোচ্চ ৪১ শতাংশ পর্যন্ত মাশুল বাড়ানো হয় এবং তা পরদিন থেকে কার্যকর করা হয়। বর্তমানে বন্দরের ৫২টি খাতে মাশুল আদায় করা হয়। সেখান থেকে ২৩টি খাতে সরাসরি বর্ধিত হারে ট্যারিফ আদায় অনুমোদন করা হয়।
প্রজ্ঞাপন অনুযায়ী ভাড়া, টোল, ফি ও মাশুল ডলারের বিনিময়মূল্যের ভিত্তিতে আদায় করা হবে। ডলারপ্রতি হার ধরা হয়েছে ১২২ টাকা, যা বাড়লে মাশুলও বাড়বে। সবচেয়ে বেশি মাশুল বেড়েছে কনটেইনার পরিবহন খাতে। প্রতি ২০ ফুট কনটেইনারে মাশুল ১১ হাজার ৮৪৯ টাকা থেকে ৪ হাজার ৩৯৫ টাকা বাড়িয়ে ১৬ হাজার ২৪৩ টাকা করা হয়েছে; যা গড়ে ৩৭ শতাংশ বৃদ্ধি।
আমদানি কনটেইনারে ৫ হাজার ৭২০ টাকা এবং রপ্তানি কনটেইনারে ৩ হাজার ৪৫ টাকা বাড়ানো হয়েছে। প্রতিটি কনটেইনার ওঠা-নামার ক্ষেত্রেও প্রায় ৩ হাজার টাকা বেশি গুনতে হবে। ফলে কনটেইনার পরিবহন খাতে সার্বিকভাবে ২৫ থেকে ৪১ শতাংশ পর্যন্ত মাশুল বেড়েছে।