দেশের স্বাস্থ্যসেবা, মেডিকেল ইকুইপমেন্টস ও ওষুধশিল্পে উদ্যোক্তারা লাইসেন্সিং প্রক্রিয়া সহজ করার দাবি জানিয়েছেন। আজ মঙ্গলবার এফবিসিসিআই আয়োজিত ‘স্বাস্থ্য খাতের উন্নয়নে বেসরকারি খাতের অংশগ্রহণ: সম্ভাবনা ও চ্যালেঞ্জ’ শীর্ষক সেমিনারে তাঁরা এটিকে শিল্পের টেকসই উন্নয়নের জন্য গুরুত্বপূর্ণ হিসেবে দেখান।
সেমিনারে উপস্থাপিত মূল প্রবন্ধে ঢাবির ইসস্টিটিউট অব হেলথ ইকোনমিকস বিভাগের অধ্যাপক ড. সৈয়দ আব্দুল হামিদ এপিআই শিল্পে পিছিয়ে থাকাকে ওষুধ খাতের বড় ঝুঁকি বলে দাবি করেন। জেএমআই গ্রুপের মো. আব্দুর রাজ্জাক বলেন, যুগোপযোগী নীতিমালা ছাড়া মেডিকেল ইকুইপমেন্টস খাতের টেকসই উন্নয়ন সম্ভব নয়।
বাংলাদেশ ওষুধশিল্প সমিতির সিইও মেজর জেনারেল (অব.) মো. মোস্তাফিজুর রহমান উল্লেখ করেন, এপিআই শিল্পে লাইসেন্সপ্রাপ্তির জন্য উদ্যোক্তাকে ৪৭টি সংস্থার অনুমোদন নিতে হয়, যা বিনিয়োগকারীদের জন্য চ্যালেঞ্জ। লাইসেন্সিং প্রক্রিয়া সহজ করতে ওয়ান-স্টপ সার্ভিসের প্রস্তাব দেন। স্বাস্থ্যসচিব মো. সাইদুর রহমান জানান, সরকার ৩ বছরের মেয়াদের লাইসেন্স প্রদানের উদ্যোগ নিয়েছে এবং কমপ্লায়েন্স নিশ্চিতকরণের দিকে নজর রাখছে।
বিডা মহাপরিচালক গাজী এ কে এম ফজলুল হক বলেন, মেডিকেল ইকুইপমেন্টস শিল্পের জন্য স্বতন্ত্র নীতিমালা তৈরি করা হচ্ছে, যা ঔষধ প্রশাসন অধিদপ্তরের মূল্যায়ন অনুযায়ী বাস্তবায়িত হবে। সেমিনারে এফবিসিসিআইর প্রশাসক মো. আবদুর রহিম খান স্বাস্থ্যসেবার মানসম্মত নিশ্চিতকরণ এবং রোগীদের চিকিৎসা ব্যয় নিয়ন্ত্রণের আহ্বান জানান।