হোম > অর্থনীতি

স্টারলিংকসহ দেশি-বিদেশি বিনিয়োগে প্রাণচাঞ্চল্য

 রিমন রহমান, রাজশাহী

রাজশাহী হাইটেক পার্ক

দীর্ঘ স্থবিরতার পর আবারও প্রাণ ফিরে পাচ্ছে রাজশাহী হাইটেক পার্ক। নতুন করে দেশি-বিদেশি প্রতিষ্ঠানের বিনিয়োগ শুরু হওয়ায় পার্ককেন্দ্রিক অর্থনীতিতে এসেছে দৃশ্যমান গতি। এতে প্রযুক্তিনির্ভর কর্মসংস্থান ও আঞ্চলিক উন্নয়নের সম্ভাবনাও জোরদার হয়েছে।

পার্কসংশ্লিষ্ট সূত্র জানায়, দীর্ঘদিন খালি পড়ে থাকা আটটি বাণিজ্যিক প্লটই এখন লিজ নিয়েছে বিভিন্ন প্রতিষ্ঠান। সবচেয়ে আলোচিত বিনিয়োগটি এসেছে মার্কিন প্রতিষ্ঠান স্টারলিংক থেকে। তারা ৪০ বছরের জন্য এক একর জায়গা লিজ নিয়ে স্থাপন করেছে অত্যাধুনিক গ্রাউন্ড স্টেশন। একই সময়ে দেশীয় অগ্নিসিস্টেম নতুন প্লট বরাদ্দ পেয়েছে এবং ব্র্যাক-আইটি দুই একর জায়গায় কার্যক্রম শুরুর প্রস্তুতি নিচ্ছে। এ ছাড়া ১২ তলা সিলিকন টাওয়ারে প্রাণ-আরএফএলসহ একাধিক কোম্পানি মোট ২ হাজার ৪০০ বর্গফুট স্পেস ভাড়া নিয়েছে।

ভর্তুকিনির্ভর পার্কে উন্নতির আশা

বর্তমানে হাইটেক পার্কে ভাড়া ও সার্ভিস চার্জ বাবদ মাসিক আয় মাত্র ২ লাখ টাকা, যেখানে ব্যয় ৮ লাখ টাকার বেশি। ফলে প্রতি মাসেই প্রায় ৬ লাখ টাকা ভর্তুকি দিতে হচ্ছে। তবে নতুন বছরের শুরু থেকে প্রতিষ্ঠানগুলোর পূর্ণাঙ্গ কার্যক্রম চালু হলে ঘাটতি উল্লেখযোগ্যভাবে কমে আসবে বলে আশা করছে কর্তৃপক্ষ।

পার্কের উপপরিচালক ইঞ্জিনিয়ার গোলাম কিবরিয়া বলেন, ‘আগে ৮টি প্লটের সবই খালি পড়ে ছিল। এখন সাত প্রতিষ্ঠান তাদের নিয়মিত কার্যক্রম চালাচ্ছে। ১২ তলা সিলিকন টাওয়ারেও ১৯টি কোম্পানিকে স্পেস বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে। বেশ কিছু প্রতিষ্ঠান কাজ শুরু করেছে, অনেকে অফিস সাজাচ্ছে।’

অবকাঠামো-নিরাপত্তা ঘাটতি নিয়ে উদ্বেগ

অবকাঠামো ও নিরাপত্তাসংক্রান্ত কিছু সমস্যার কথা জানিয়ে উদ্যোক্তারা বলছেন, ২০২৪ সালের ৫ আগস্টে যে ক্ষতি হয়েছিল, তা পুষিয়ে নিতে দ্রুত অবকাঠামো সংস্কার ও নিরাপত্তা জোরদার না করলে বড় বিনিয়োগ ঝুঁকিতে পড়তে পারে। বিনিয়োগ বাড়তে থাকলেও নিরাপত্তা, পরিবেশ ও ব্র্যান্ডিংয়ে এখনো পিছিয়ে কর্তৃপক্ষ।

হাইটেক পার্কের রাজ আইটির ব্যবস্থাপনা পরিচালক এ এস এম আক্তারুজ্জামান মাসুদ বলেন, ‘এখানে এখনো সিকিউরিটি ক্যামেরা নেই, বিদ্যুৎ ব্যাকআপও দুর্বল। মাঝে মাঝে বিদ্যুৎ চলে যায়। হাইটেক পার্কে এমন হতে পারে না। কারণ, নিরবচ্ছিন্ন বিদ্যুৎ সরবরাহ ও কর্মীবান্ধব পরিবেশ ছাড়া কোনো হাইটেক পার্ক টেকসই হতে পারে না। এ বিষয়গুলো দ্রুত সমাধান করতে হবে।’

সম্ভাবনার কেন্দ্র হতে পারে রাজশাহী

শিক্ষানগরী রাজশাহীতে প্রতিবছর প্রায় ১ লাখ শিক্ষার্থী কর্মসংস্থানের সুযোগ খোঁজেন। এমন প্রেক্ষাপটে হাইটেক পার্কে কমপক্ষে ১৪ হাজার কর্মসংস্থান তৈরি করা সম্ভব বলে মনে করছেন বিশেষজ্ঞরা।

রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের সিএসই বিভাগের সভাপতি অধ্যাপক রোকনুজ্জামান বলেন, ‘হাইটেক পার্ক ও বিশ্ববিদ্যালয় একসঙ্গে কাজ করলে একটি শক্তিশালী মানবসম্পদ ভান্ডার তৈরি হতে পারে। আমাদের শিক্ষার্থীরা প্রতিনিয়ত চাকরি খুঁজছে। পার্কের প্রতিষ্ঠানগুলো যদি আমাদের আমন্ত্রণ জানায়, আমরা তাদের সঙ্গে দক্ষ জনবল তৈরিতে সহযোগিতা করতে প্রস্তুত।’

লাইভ বেকারি: গরম গরম পাউরুটিতে স্বাস্থ্যঝুঁকি চরমে

ট্রুথ কমিশন গঠনে জোর

বাজারে নতুন চাল আলু পেঁয়াজ, দাম কমে ক্রেতার কিছুটা স্বস্তি

দুই দফা কমার পর বাড়ল সোনার দাম

বাংলাদেশে বিনিয়োগ বাড়াতে আগ্রহী চীনা ব্যবসায়ীরা

ত্রিমুখী চাপে অস্তিত্ব সংকটে দেশীয় সুতাশিল্প

রোজার আগে কমল খেজুরের শুল্ক

পার্ক অ্যাভিনিউর নতুন ব্র্যান্ড অ্যাম্বাসেডর জামাল ভূঁইয়া

বীকন ফার্মার কর্ণধার এবাদুল করিমের মৃত্যু

প্রতিবন্ধী ব্যক্তিদের জন্য ‘এক্সিসেবল ডিজিটাল সেবা’ নিশ্চিতের আহ্বান