দেশের বৈদেশিক মুদ্রাবাজার স্থিতিশীল রাখতে এবং রেমিট্যান্স ও রপ্তানি আয়ের প্রবাহকে সহায়তা দিতে ব্যাংকগুলো থেকে উদ্বৃত্ত ডলার কেনা অব্যাহত রেখেছে বাংলাদেশ ব্যাংক। ২০২৫-২৬ অর্থবছরের প্রথম তিন মাসে প্রায় ২ বিলিয়ন বা ২০০ কোটি ডলার কিনেছে কেন্দ্রীয় ব্যাংক।
বাংলাদেশ ব্যাংকের তথ্য অনুযায়ী, আজ সোমবার ‘মাল্টিপল প্রাইস’ নিলাম পদ্ধতিতে ৮টি ব্যাংক থেকে মোট ১০ কোটি ৪০ লাখ মার্কিন ডলার (১০৪ মিলিয়ন ডলার) কেনা হয়েছে। এ সময় প্রতি ডলারের বিনিময় হার ছিল ১২১.৭৮ থেকে ১২১.৮০ টাকা।
গত ১৩ জুলাই থেকে নিলামের মাধ্যমে ডলার কেনা শুরু করেছিল বাংলাদেশ ব্যাংক। প্রায় তিন মাসে নিলামের মাধ্যমে প্রায় দুই বিলিয়ন (১ হাজার ৯৮১ মিলিয়ন) মার্কিন ডলার কিনেছে।
বাংলাদেশ ব্যাংকের নির্বাহী পরিচালক ও মুখপাত্র আরিফ হোসেন খান আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘আজ মাল্টিপল প্রাইস অকশনের মাধ্যমে ৮ ব্যাংক থেকে ১০৪ মিলিয়ন বা ১০ কোটি ৪০ লাখ ডলার কেনা হয়েছে। এ সময় ডলারের দর নির্ধারণ হয় প্রতি ডলারে ১২১ টাকা ৭৮ পয়সা থেকে ১২১ টাকা ৮০ পয়সার মধ্যে। এ নিয়ে চলতি অর্থবছরের এ পর্যন্ত নিলাম পদ্ধতির মাধ্যমে বাংলাদেশ ব্যাংক মোট ১৯৮ কোটি ১০ লাখ ডলার কেনা হয়েছে।’
নাম প্রকাশ না করার শর্তে একটি বেসরকারি ব্যাংকের ব্যবস্থাপনা পরিচালক জানান, শক্তিশালী রেমিট্যান্স প্রবাহ ও রপ্তানি আয়ের কারণে ব্যাংকগুলো দীর্ঘদিনের আমদানি দায়, বিশেষ করে জ্বালানি আমদানির বিল পরিশোধ করতে পেরেছে। এসব দায় শোধ হয়ে যাওয়া এবং আমদানি চাপ কমে আসায় বর্তমানে বাজারে ডলারের সরবরাহ চাহিদার তুলনায় বেশি। ফলে বিনিময় হার ক্রমেই নিচের দিকে নেমে আসছে।