সড়কপথ দিয়ে বাংলাদেশ থেকে ভারতে পরিবহনের অনুমতি না মেলায় লালমনিরহাটের পাটগ্রামের বুড়িমারী স্থলবন্দরে আটকে আছে থাইল্যান্ড থেকে আমদানি করা ভুটানের পণ্যের চালান। ফলের জুস, জেলি, শুকনো ফল, লিচু ফলের ক্যান্ডি ও শ্যাম্পুর চালানটি গত ২২ সেপ্টেম্বর চট্টগ্রাম বন্দরে পৌঁছায়।
বুড়িমারী স্থলবন্দর কর্তৃপক্ষের সহকারী পরিচালক (ট্রাফিক) মাহমুদুল হাসান আজকের পত্রিকাকে বলেন, ভুটানে ট্রানশিপমেন্ট কনটেইনারের পণ্যের চালানের গাড়িটি শুক্রবার থেকে স্থলবন্দরের মাঠে রয়েছে।
সংশ্লিষ্ট সূত্র বলেছে, ছয় ধরনের পরীক্ষামূলক পণ্যের চালানটি ব্যাংককের রপ্তানিকারক প্রতিষ্ঠান আবিত ট্রেডিং কোম্পানি গত ৮ সেপ্টেম্বর জাহাজের মাধ্যমে বাংলাদেশে পাঠায়। গত শুক্রবার কনটেইনারটি বুড়িমারী স্থলবন্দরে পাঠায় চট্টগ্রামের সিঅ্যান্ডএফ এজেন্ট প্রতিষ্ঠান এনএম ট্রেডিং করপোরেশন। এরপর দুদিনে একাধিকবার চেষ্টা করেও চালানটি ভারতের চ্যাংড়াবান্ধা স্থলবন্দরে পাঠাতে পারেনি বুড়িমারীর সিঅ্যান্ডএফ এজেন্ট প্রতিষ্ঠান বেনকো।
বাংলাদেশ থেকে ভারতের সড়কপথ ব্যবহার করে ভুটানে ট্রানশিপমেন্ট পণ্য নিতে কোনো অনুমতি পায়নি ভারতের চ্যাংড়াবান্ধা স্থলবন্দর কর্তৃপক্ষ। এ কারণে পণ্যের চালানটি বুড়িমারী স্থলবন্দরের ইয়ার্ডে আটকা পড়েছে বলে জানান বেনকো লিমিটেডের স্বত্বাধিকারী ফারুক হোসেন।
বুড়িমারী স্থল শুল্ক স্টেশনের সহকারী কমিশনার (এসি) দেলোয়ার হোসেন বলেন, ভুটানের পণ্যের চালানটির কাস্টমের আনুষ্ঠানিকতা সম্পন্ন হয়েছে। ভুটান ভারতীয় কাস্টমের কাছ থেকে অনুমতি পায়নি, রুট পারমিট পাওয়ামাত্র চালানটি পাঠানো হবে।
বাংলাদেশ, ভুটান, ভারত ও নেপালের মধ্যে সড়ক পথে পণ্য পরিবহনে ২০২৩ সালের ২২ মার্চ বিবিআইএন প্রটোকল চুক্তি সই হয়। পরের বছর এপ্রিলে ভুটানে অনুষ্ঠিত বাংলাদেশ-ভুটান বাণিজ্যসচিব পর্যায়ের সভায় বাংলাদেশের সমুদ্রবন্দর ও সড়কপথ দিয়ে এবং ভারতের সড়কপথ ব্যবহার করে ট্রানশিপমেন্ট পণ্যের পরীক্ষামূলক দুটি চালান ভুটানে নেওয়ার সিদ্ধান্ত হয়।