সম্প্রতি সরকারি-বেসরকারি বেশ কয়েকটি প্রতিবেদনে বাংলাদেশে দারিদ্র্যের হার বৃদ্ধির আশঙ্কা করা হয়েছে, যা বেশ উদ্বেগের। সামগ্রিকভাবে কর্মসংস্থানের সুযোগ বৃদ্ধি করা সম্ভব হলে দারিদ্র্য বৃদ্ধির আশঙ্কা দূর হবে। তবে এ ক্ষেত্রে রপ্তানিমুখী শিল্পায়নের প্রতি বেশি মনোযোগী হওয়া প্রয়োজন। এ জন্য বাণিজ্য ও বিনিয়োগ নীতিমালাগুলো দ্রুত সংস্কার করতে হবে।
আজ মঙ্গলবার ঢাকা চেম্বার অব কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রির (ডিসিসিআই) ‘ডিসিসিআই জার্নাল অব বিজনেস অ্যান্ড ইকোনমিক পলিসি’-এর দ্বিতীয় সংস্করণ এবং ‘ট্যাক্স গাইড ২০২৫-২৬’-এর প্রকাশনা অনুষ্ঠান বক্তারা এসব কথা বলেন।
ডিসিসিআই অডিটরিয়ামে আয়োজিত অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি ছিলেন বাণিজ্যসচিব মাহবুবুর রহমান। তিনি বলেন, ‘বিগত বছরগুলোতে বাংলাদেশ অর্থনীতির প্রবৃদ্ধি উন্নয়ন-বিষয়ক নানামুখী কার্যক্রম পরিচালনা করলেও, আমাদের সামগ্রিক অর্থনীতি কাঙ্ক্ষিত মাত্রায় পৌঁছায়নি, তাই এ বিষয়ে কাজ করার যথেষ্ট সুযোগ রয়েছে।’
স্বাগত বক্তব্যে ঢাকা চেম্বারের সভাপতি তাসকীন আহমেদ বলেন, ‘দেশের সার্বিক উন্নয়নের গতিধারা অব্যাহত রাখতে জিডিপিতে করের অবদান বাড়াতে করজাল সম্প্রসারণ, রাজস্ব প্রক্রিয়ার পুরোপুরি অটোমেশন নিশ্চিতকরণ এবং সংশ্লিষ্ট নীতিমালার সহজীকরণ ও সংস্কার প্রয়োজন।’
পিআরআইয়ের চেয়ারম্যান ড. জায়েদী সাত্তার বলেন, আন্তর্জাতিক বাণিজ্যে বাংলাদেশের রপ্তানি আরও সম্প্রসারণ করতে বাণিজ্য ও বিনিয়োগ-বিষয়ক নীতিমালাগুলো দ্রুত সংস্কার প্রয়োজন। তিনি বলেন, কর্মসংস্থানের সুযোগ বাড়ানো গেলে দারিদ্র্যও দূর হবে। তবে এ ক্ষেত্রে রপ্তানিমুখী শিল্পায়নের প্রতি বেশি মনোযোগী হওয়া প্রয়োজন।
এনবিআরের সদস্য জি এম আবুল কালাম কায়কোবাদ বলেন, ‘ঢাকা চেম্বার কর্তৃক প্রকাশিত ট্যাক্স গাইডটি দেশের সর্বস্তরের করদাতাদের অনলাইন কর প্রদান প্রক্রিয়াকে আরও সহজতর করবে। ইতিমধ্যে প্রায় ২০ লাখ করদাতা অনলাইন প্রক্রিয়া ব্যবহারের মাধ্যমে করা প্রদান করেছে এবং ৫০ লাখ মানুষ চলতি বছরে এ ব্যবস্থায় কর প্রদান করবে বলে এনবিআর প্রত্যাশা করছে।’
আবুল কালাম কায়কোবাদ আশা প্রকাশ করে বলেন, ‘অনলাইনভিত্তিক কর প্রদান ব্যবস্থা জনগণের মাঝে স্বস্তি আনয়নের পাশাপাশি হয়রানি দূর করবে, সেই সঙ্গে দেশের সামগ্রিক রাজস্ব ব্যবস্থাপনায় স্বচ্ছতা নিশ্চিত করবে।’
এ সময় ঢাকা চেম্বারের সহসভাপতি মো. সালিম সোলায়মানসহ পরিচালনা পর্ষদের সদস্যবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন।