ঢাকা: দেশের পুঁজিবাজারে চাঙ্গাভাব অব্যাহত রয়েছে। সূচকের উর্ধ্বমুখী ধারার পাশাপাশি লেনদেনের পরিমাণ বৃদ্ধিও অব্যাহত রয়েছে। এছাড়া রোববার দেশের প্রধান পুঁজিবাজার ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জে (ডিএসই) লেনদেন হয়েছে ১ হাজার ৪০৬ কোটি টাকা। গত ২৫ জানুয়ারির পর ডিএসইতে এটা সর্বোচ্চ লেনদেন।
পুঁজিবাজার সূত্রে জানা গেছে, রোববার সপ্তাহের প্রথম কার্যদিবস ডিএসই এবং অন্য পুঁজিবাজার চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জে (সিএসই) মূল্যসূচকের উত্থান হয়েছে। তবে সিএসইতে সূচক বাড়লেও কমেছে লেনদেনের পরিমাণ।
রোববার ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জে এক্সচেঞ্জের প্রধান মূল্য সূচক ডিএসইএক্স আগের দিনের তুলনায় ৩৭ পয়েন্ট বেড়ে ৫ হাজার ৫১৭ পয়েন্টে উঠে এসেছে। প্রধান মূল্যসূচকের পাশাপাশি বেড়েছে বাছাই করা ভালো কোম্পানি নিয়ে গঠিত ডিএসই-৩০ সূচকের। আগের দিনের তুলনায় সূচকটি ১২ পয়েন্ট বেড়ে ২ হাজার ১২৩ পয়েন্টে অবস্থান করছে। আর ডিএসইর শরিয়াহ্ সূচক দশমিক ৫ পয়েন্ট বেড়ে ১ হাজার ২৫৫ পয়েন্টে দাঁড়িয়েছে।
মূল্যসূচক বৃদ্ধির পাশাপাশি ডিএসইতে বেড়েছে লেনদেনের পরিমাণ। ডিএসইতে লেনদেন হয়েছে ১ হাজার ৪০৬ কোটি ৯৬ লাখ টাকার শেয়ার। আগের দিন লেনদেনের পরিমাণ ছিল ১ হাজার ১৭২ কোটি ৮৮ লাখ টাকা। সে হিসেবে লেনদেন বেড়েছে ২৩৪ কোটি ৮ লাখ। এর আগে চলতি বছরের ২৫ জানুয়ারি লেনদেন হয়েছিল ১ হাজার ৫৮৫ কোটি টাকার। আর গত ২০ এপ্রিল ডিএসইতে লেনদেন হয়েছিল ১ হাজার ২৯৯ কোটি ৮৪ লাখ টাকা।
রোববার ডিএসইতে লেনদেনকৃত প্রতিষ্ঠানগুলোর মধ্যে দাম বেড়েছে ১৮০টি প্রতিষ্ঠানের শেয়ার ও ইউনিটের। দাম কমেছে ১০৪টির এবং ৭৭টির দাম অপরিবর্তিত ছিল। টাকার অঙ্কে ডিএসইতে সব থেকে বেশি লেনদেন হয়েছে বেক্সিমকোর শেয়ার। কোম্পানিটির ২৭৭ কোটি ৩৯ লাখ টাকার শেয়ার লেনদেন হয়েছে। দ্বিতীয় স্থানে থাকা প্রভাতী ইনস্যুরেন্সের ৭৮ কোটি ৯২ লাখ টাকার লেনদেন হয়েছে। ৩৮ কোটি ২৬ লাখ টাকার শেয়ার লেনদেনের মাধ্যমে তৃতীয় স্থানে রয়েছে ন্যাশনাল ফিড।
এছাড়া ডিএসইতে লেনদেনের দিক থেকে শীর্ষ ১০ প্রতিষ্ঠানের তালিকায় রয়েছে- বেক্সিমকো ফার্মা, লাফার্জহোলসিম বাংলাদেশ, লংকাবাংলা ফাইন্যান্স, সোনার বাংলা ইনস্যুরেন্স, সামিট পাওয়ার, সিটি জেনারেল ইনস্যুরেন্স এবং ম্যাক্সন স্পিনিং।
দেশের অন্য পুঁজিবাজার সিএসইতে সার্বিক মূল্য সূচক সিএএসপিআই রোববার বেড়েছে ১২৮ পয়েন্ট। আর সিএসইতে লেনদেন হয়েছে ৩১ কোটি ৭৭ লাখ টাকা। যা আগের দিনের চেয়ে ২৬ কোটি টাকা কম। আগের দিন সিএসইতে লেনদেনের পরিমাণ ছিল ৫৭ কোটি ১৩ লাখ টাকা। সিএসইতে লেনদেনকৃত ২৬৭টি প্রতিষ্ঠানের মধ্যে ১৪৫টির দাম বেড়েছে। দাম কমেছে ৮২টির এবং ৪০টির দাম অপরিবর্তিত ছিল।