হোম > অর্থনীতি

ই-অরেঞ্জ ও এসপিসির বিরুদ্ধে ২৩৩ কোটি টাকা মানি লন্ডারিংয়ের মামলা

নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা

ই-কমার্স প্রতিষ্ঠান ই-অরেঞ্জ এবং কথিত ডিজিটাল এমএলএম প্ল্যাটফর্ম এসপিসি ওয়ার্ল্ড গ্রাহকদের ২৩৩ কোটি টাকা পাচার করেছে। মানি লন্ডারিংয়ের অভিযোগে দুইটি প্রতিষ্ঠানের বিরুদ্ধে মামলা করেছে পুলিশের অপরাধ তদন্ত বিভাগ (সিআইডি)। আজ সোমবার দুপুরে সিআইডির অর্গানাইজড ক্রাইমের বিশেষ পুলিশ সুপার হুমায়ুন কবির রাজধানীর মালিবাগে সংস্থাটির নিজ কার্যালয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে তিনি এসব তথ্য জানান।

পুলিশ সুপার বলেন, সিআইডি ই-অরেঞ্জ ও এসপিসির বিরুদ্ধে প্রাথমিক তদন্তে মানিলন্ডারিংয়ের প্রমাণ পাওয়ায় গুলশান ও কলাবাগান থানায় মানিলন্ডারিং আইনে পৃথক দুটি মামলা করেছে। প্রতিষ্ঠান দুটো গ্রাহকের টাকা তুলে অন্যান্য খাতে ব্যবহার করেছে যেটা মানিলন্ডারিং আইনে অপরাধ।

এর আগে রোববার রাতে রাজধানীর বেইলি রোড থেকে এসপিসির প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা (সিইও) আল আমিন ও প্রতিষ্ঠানটির পরিচালক এবং তার স্ত্রী শারমীন আক্তারকে গ্রেপ্তার করেছে সিআইডি।

এসপিসির বিরুদ্ধে কলাবাগান থানায় দায়ের করা মানিলন্ডারিং মামলায় সিআইডি অভিযোগ করেছে, প্রতিষ্ঠানটি তাদের কোম্পানির হিসাব থেকে মোট ১ কোটি ১৭ লাখ ৫০ হাজার টাকা ব্যক্তিগত কাজে ব্যবহার করেছে। যার প্রমাণ মিলছে। এই অপরাধে তাদের বিরুদ্ধে মামলাটি হয়েছে।

পুলিশ জানিয়েছে, ২০২০ সালে ডেসটিনির এই সাবেক কর্মকর্তা আল আমিনকে গ্রেপ্তার করেছিল ঢাকা মহানগর গোয়েন্দা পুলিশ (ডিবি) । অবৈধভাবে অনলাইনে এমএলএম ব্যবসা করে অর্থ আত্মাসাৎ করার অভিযোগে তখন ডিবি তাদের বিরুদ্ধে তিনটি মামলা করে। ২৬৮ কোটি টাকা আত্মসাৎ করার অভিযোগ করেছিল ডিবি। ওই মামলায় দুই মাসের মধ্যে আদালত থেকে জামিন পান আল আমিন। জামিন পেয়ে পুনরায় তিনি এই ব্যবসা শুরু করেন। সিআইডির হাতে ৩ অক্টোবর গ্রেপ্তারের আগ পর্যন্ত তিনি গ্রাহকদের কাছ থেকে ২২ কোটি টাকা হাতিয়ে নেন।

সিআইডির বিশেষ পুলিশ সুপার হুমায়ুন কবির বলেন, সাম্প্রতিক কয়েকটি ই-কমার্স প্রতিষ্ঠান প্রতারণা কাণ্ডে অত্যন্ত উৎকণ্ঠায় রয়েছে গ্রাহক, ব্যবসায়ী এবং এই খাত সংশ্লিষ্টরা। ই-কমার্স সাইটগুলো ঈদ ধামাকা, সাইক্লোন অফার, ডাবল অফারসহ বিভিন্ন চটকদার বিজ্ঞাপনের মাধ্যমে সাধারণ গ্রাহকদের আকৃষ্ট করে। ই-কমার্স প্রতিষ্ঠানের অ্যাকাউন্টে টাকা প্রবেশ ও বের করা প্রক্রিয়ায় কোনো অস্বচ্ছতা থাকলেও সেসব বিষয়েও তদন্ত করে ব্যবস্থা নিবে সিআইডি।

হুমায়ুন কবির বলেন, করোনা মহামারির সময় ই-কমার্স প্রতিষ্ঠানগুলো মানুষের কাছে জনপ্রিয়তা লাভ করে। মানুষের সেই আবেগকে পুঁজি করে কিছু অসাধু ব্যক্তি মুনাফা বা অর্থ আত্মসাতের চেষ্টা করেছে। আমরা চাই এই সেক্টর আরও প্রসারিত হোক। তবে আইনের মধ্য থেকে তারা ব্যবসা করুক।

এডিপি বাস্তবায়নে বড় ধাক্কা

ডলারের বিপরীতে রুপির আরও দরপতন

যুক্তরাষ্ট্রে ব্যাংকিং লাইসেন্সের আবেদন করল পেপ্যাল

সোনার দাম ভরিতে ১৪৭০ টাকা বাড়ল

শেভরনের সহায়তায় সিলেটে ৬০ প্রতিবন্ধী ব্যক্তির স্বাভাবিক জীবনে ফেরা

আরও ১৪ কোটি ১৫ লাখ ডলার কিনল কেন্দ্রীয় ব্যাংক

দিনে ১৭২৫০ টন পেঁয়াজ আমদানির অনুমতি দিল সরকার

ভারত থেকে ৫০ হাজার টন চাল কিনবে সরকার

এখন থেকে মেট্রোরেলের কার্ড রিচার্জ করা যাবে নগদে

তৈরি পোশাক রপ্তানি: ইইউ-যুক্তরাষ্ট্রের বাইরে সম্ভাবনা জাপানে