দেশের বন্ধ পাটকলগুলো ধীরে ধীরে বেসরকারি খাতে হস্তান্তর করা হচ্ছে বলে জানিয়েছেন বাণিজ্য এবং বস্ত্র ও পাট মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা শেখ বশিরউদ্দীন। তিনি বলেছেন, এখন পর্যন্ত ১৪টি পাটকল ৩০ বছরের লিজে বেসরকারি খাতের কাছে দেওয়া হয়েছে। এ ছাড়া আরও অনেক পাটকল লিজে হস্তান্তরের প্রক্রিয়া চলছে। দেশে মোট ২৫টি সরকারি পাটকল বর্তমানে বন্ধ রয়েছে।
আজ বৃহস্পতিবার জাতীয় বস্ত্র দিবস উপলক্ষে রাজধানীর জুট ডাইভারসিফিকেশন প্রমোশন সেন্টারে (জেডিপিসি) আয়োজিত অনুষ্ঠানে এসব কথা বলেন তিনি। এবারের দিবসটির প্রতিপাদ্য ছিল—‘বস্ত্রশিল্পের প্রবৃদ্ধি, অর্থনৈতিক সমৃদ্ধি’। অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন বস্ত্র ও পাট মন্ত্রণালয়ের সচিব বিলকিস জাহান রিমি।
বশিরউদ্দীন বলেন, ‘বস্ত্র খাতের বিষয়ে আমরা কোনো সিদ্ধান্তই আবেগের বশে নেব না। অতীতের ভুল থেকে শিক্ষা নিয়ে শিল্পকে সমৃদ্ধির পথে এগিয়ে নেওয়া হবে। বস্ত্র খাতে যে সাফল্য এসেছে, তার পেছনে উদ্যোক্তাদের দক্ষতা, বিনিয়োগ এবং বিদেশে অর্জিত জ্ঞান গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রেখেছে। এ খাতে বর্তমানে ২০ শতাংশ মুনাফা অর্জিত হচ্ছে, যা সবার সমষ্টিগত অর্জন।’
বস্ত্র উপদেষ্টা বলেন, ‘বস্ত্র খাতে সবাই খরচ বাঁচাতে চায়। এ শিল্পে খরচ বাঁচানো ছাড়া কোনো বিকল্প নেই। আমরা যদি আমাদের সক্ষমতা বাড়াতে ভুল করি, তাহলে স্লিপ করব। আমরা রপ্তানি আয়ে ১০০ বিলিয়ন ডলারের লক্ষ্য অর্জন করতে চাই। এর মধ্যে বস্ত্র খাতের অবদানই ৮৬ শতাংশ।’
অনুষ্ঠান শেষে সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের উত্তরে উপদেষ্টা বলেন, বস্ত্র ও পাটশিল্পের অতীত ভুল থেকে শিক্ষা নিয়ে সরকার সামনে এগোতে চায়। পাটশিল্পে অতীতে অদক্ষতা, অযোগ্যতা, দুর্বৃত্তায়ন ও অব্যবস্থাপনার কারণে শিল্পটি ধ্বংসের মুখে পড়েছে। রঙিন স্বপ্ন দেখানো হয়েছে, যার সঙ্গে বাস্তবতার কোনো মিল নেই। কিছু অর্জন করতে না পেরেই স্বপ্ন দেখানো হয়েছিল। ফলে সরবরাহ-চাহিদার ঘাটতি সৃষ্টি হয়, আর প্লাস্টিক শিল্পের উত্থানে পাটপণ্য প্রাপ্যতা কমে যায়।