১ হাজার ৪০০ কোটি টাকার ভ্যাট জটিলতা নিরসনে পদ্মা অয়েল ও চট্টগ্রাম ভ্যাট কমিশনারেটের কেউই ছাড় দিতে রাজি নয়। উভয় প্রতিষ্ঠানই নিজ নিজ অবস্থানে অনড় রয়েছে। ফলে এনবিআরের সঙ্গে উভয় পক্ষের বৈঠকটি কোনো সমাধান ছাড়াই শেষ হয়েছে। জাতীয় স্বার্থে স্পর্শকাতর হওয়ায় ভ্যাট কমিশনারেটও শাস্তিমূলক ব্যবস্থা হিসেবে পদ্মা অয়েলের ব্যাংক অ্যাকাউন্ট ফ্রিজসহ অন্য কোনো পদক্ষেপও নিতে পারছে না।
জানা যায়, বিদেশি এয়ারলাইনসের কাছে জেট ফুয়েল বিক্রি করে তা রপ্তানি দেখিয়ে ভ্যাট দেওয়া থেকে বিরত রয়েছে পদ্মা অয়েল কোম্পানি। চট্টগ্রাম ভ্যাট কমিশনারেট একে ভ্যাট ফাঁকি হিসেবেই দেখছে। ২০১৫ থেকে ২০১৯ সাল পর্যন্ত এ ফাঁকির পরিমাণ প্রায় ১ হাজার ৪০০ কোটি টাকা। ভ্যাটের এ বিপুল অঙ্কের টাকা আদায়ে চট্টগ্রাম ভ্যাট কমিশনারেট নানামুখী পদক্ষেপ নিলেও তাতে সাড়া দিচ্ছে না পদ্মা অয়েল। বিপিসির আওতাধীন এ সরকারি সংস্থাটি মনে করে তারা বিদেশি কোম্পানির কাছে জেট ফুয়েল রপ্তানি করেছে, তাই তার ভ্যাট হবে না। তবে রপ্তানির বিল ডলারে না নিয়ে টাকায় নেওয়ায় তাতে ভ্যাট প্রযোজ্য হয় বলে ভ্যাট দাবি করেছে চট্টগ্রাম ভ্যাট কমিশনারেট।
বিষয়টির সুরাহার জন্য উভয় পক্ষকে নিয়ে গত রোববার এনবিআরে একটি বৈঠকও হয়। এতে উভয় পক্ষই নিজ নিজ অবস্থানে অনড় থাকে বলে বৈঠক সূত্র নিশ্চিত করেছে। তবে কোনো প্রতিষ্ঠান সরকারের প্রযোজ্য রাজস্ব দিতে অপারগতা প্রকাশ করলে তা আদায়ে আইনি পদক্ষেপ নিতে পারে এনবিআর ও এর সহযোগী বিভাগগুলো।