গ্রামীণফোনের চিফ করপোরেট অ্যাফেয়ার্স অফিসার (সিসিএও) তানভীর মোহাম্মদ ‘চিফ করপোরেট অ্যাফেয়ার্স অফিসার অব দ্য ইয়ার ২০২৫’ এবং চিফ মার্কেটিং অফিসার (সিএমও) ফারহা নাজ জামান ‘চিফ মার্কেটিং অফিসার অব দ্য ইয়ার ২০২৫’-এর সম্মানে ভূষিত হয়েছেন। দক্ষ নেতৃত্বের স্বীকৃতি হিসেবে বাংলাদেশ ব্র্যান্ড ফোরাম আয়োজিত বাংলাদেশ সি-স্যুট অ্যাওয়ার্ডস ২০২৫-এ তাঁদের এই সম্মাননা দেওয়া হয়।
এই অর্জন দীর্ঘ অভিজ্ঞতা, কৌশলগত নেতৃত্ব ও টেলিকম খাতে পথপ্রদর্শক হিসেবে তাঁদের অবদানকে তুলে ধরেছে। নিজ নিজ পেশাগত ক্ষেত্রে তাঁরা একটি নতুন মানদণ্ড স্থাপন করেছেন, যা বাংলাদেশের ডিজিটাল অগ্রযাত্রায় গ্রামীণফোনের অবস্থানকে আরও সুসংহত করেছে। তাঁরা উভয়েই দায়িত্বশীল ব্যবসায়িক চর্চা, গ্রাহককেন্দ্রিক উদ্ভাবন এবং নিরাপদ ও স্মার্ট ডিজিটাল ভবিষ্যতের লক্ষ্যে কোম্পানির কার্যক্রমকে এগিয়ে নিতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করছেন।
গ্রামীণফোনের চিফ করপোরেট অ্যাফেয়ার্স অফিসার তানভীর মোহাম্মদ বলেন, ‘এই সম্মাননা আমার জন্য অনুপ্রেরণার। ক্রমাগত পরিবর্তনশীল টেলিযোগাযোগ খাতে দায়িত্বশীল ও টেকসই প্রবৃদ্ধি নিশ্চিত করতে সংকল্পবদ্ধ গ্রামীণফোন; এই সম্মাননা তারই প্রতিফলন। বাংলাদেশের আর্থসামাজিক অগ্রগতির অন্যতম চালিকা শক্তি হচ্ছে টেলিযোগাযোগ খাত। এ ক্ষেত্রে উদ্ভাবন, বিনিয়োগ ও ডিজিটাল অন্তর্ভুক্তিকে ত্বরান্বিত করতে একটি দূরদর্শী রেগুলেটরি ইকোসিস্টেম গুরুত্বপূর্ণ। এ জন্য কার্যকর পার্টনারশিপ গড়ে তোলা এবং এই খাতকে শক্তিশালী করতে নীতিমালাসংশ্লিষ্ট কাজ করার সুযোগ পেয়ে আমি কৃতজ্ঞ।’
গ্রামীণফোনের চিফ মার্কেটিং অফিসার ফারহা নাজ জামান বলেন, ‘এই স্বীকৃতি আমাদের নিবেদিতপ্রাণ কর্মীদের কঠোর পরিশ্রমের স্মারক, যাঁরা প্রতিদিন গ্রাহকদের চাহিদা বোঝার চেষ্টা এবং সেই অনুযায়ী কার্যকর ও উদ্ভাবনী সেবা পৌঁছে দিতে কাজ করছেন। গ্রামীণফোনে সব সময় আমাদের লক্ষ্য হচ্ছে—কানেকটিভিটির শক্তি ব্যবহার করে জীবনমানে পরিবর্তন আনা। একটি প্রতিশ্রুতিশীল ও ভবিষ্যৎমুখী কোম্পানিতে এমন একটি মিশন নিয়ে কাজ করতে পেরে আমি গর্বিত।’
বাংলাদেশ সি-স্যুট অ্যাওয়ার্ডস এমন স্বপ্নদ্রষ্টা করপোরেট নির্বাহীদের স্বীকৃতি দেয়, যাঁরা কৌশলগত দূরদৃষ্টি, দৃঢ়তা ও উৎকর্ষতার মাধ্যমে বিভিন্ন শিল্প খাতে নতুন মানদণ্ড স্থাপন করেন। নেতৃত্বের বিকাশ, টেকসই প্রবৃদ্ধি নিশ্চিতকরণ এবং বাংলাদেশের ডিজিটাল ভবিষ্যৎ বিনির্মাণে অবিচল গ্রামীণফোন; এই অর্জন সেই প্রতিশ্রুতিরই প্রতিফলন।
গ্রামীণফোন লিমিটেড
৮ কোটি ৫৬ লাখ গ্রাহক নিয়ে বাংলাদেশের শীর্ষস্থানীয় টেলিযোগাযোগ সেবাদাতা প্রতিষ্ঠান গ্রামীণফোন। এটি টেলিনর গ্রুপের একটি অঙ্গপ্রতিষ্ঠান। সমাজের ক্ষমতায়ন ও ডিজিটাল বৈষম্য হ্রাসের লক্ষ্য নিয়ে ১৯৯৭ সালে যাত্রা শুরুর পর থেকে গ্রামীণফোন দেশব্যাপী সর্ববৃহৎ নেটওয়ার্ক ব্যবস্থা গড়ে তুলেছে, যা দেশের ৯৯ শতাংশের বেশি মানুষকে কভার করে।
সংযোগের শক্তিকে কাজে লাগিয়ে সম্ভাবনার নতুন দুয়ার খুলে দিতে এবং গ্রাহকদের ডিজিটাল জীবনধারা আরও সমৃদ্ধ করতে সংকল্পবদ্ধ কোম্পানিটি। এ জন্য ভবিষ্যৎ উপযোগী ও গ্রাহককেন্দ্রিক প্রযুক্তি সেবাদাতা প্রতিষ্ঠানে পরিণত হওয়ার অভিযাত্রায় প্রতিনিয়ত উদ্ভাবন করে যাচ্ছে প্রতিষ্ঠানটি। গ্রামীণফোন ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জ (ডিএসই) ও চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জে (সিএসই) তালিকাভুক্ত।