হোম > অর্থনীতি

রমজানে এলসি স্বাভাবিক রাখতে বাংলাদেশ ব্যাংককে চিঠি দেবে বাণিজ্য মন্ত্রণালয়

নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা

আসন্ন রমজান মাসে নিত্যপণ্যের আমদানি যাতে বাধাগ্রস্ত না হয় সে জন্য এলসি বা ঋণপত্র স্বাভাবিক রাখতে বাংলাদেশ ব্যাংককে চিঠি দেবে বাণিজ্য মন্ত্রণালয়।

আজ বুধবার বিকেলে বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র সচিব তপন কান্তি ঘোষ রমজানে নিত্যপণ্যের আমদানি পরিস্থিতি পর্যালোচনা সভা শেষে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে এ কথা বলেন।

বাণিজ্যসচিব বলেন, আসন্ন রমজান মাসে পণ্য আমদানিতে যাতে কোনো ধরনের সমস্যা না হয় সে জন্য এলসি স্বাভাবিক রাখার জন্য বাংলাদেশ ব্যাংককে চিঠি দেওয়া হবে। আজ-কালের মধ্যেই এই চিঠি দেওয়া হবে। আমদানিকারকেরা জানিয়েছেন, এলসি করতে মার্জিন অনেক বেশি। এই মার্জিন কমিয়ে আনা কিংবা শূন্য করা যায় কীনা তা নিয়ে বাংলাদেশ ব্যাংককে চিঠি দেওয়া হবে। এলসি ও পণ্য খালাসে কোনো সমস্যা হচ্ছে কীনা-তা দেখা হবে।

বাণিজ্যসচিব আরও বলেন, রমজানের নিত্যপণ্যের চাহিদা স্বাভাবিকের চেয়ে দ্বিগুণ হয়। এ জন্য আমদানি পরিস্থিতি যাতে কোনো বিঘ্ন না হয় সে জন্য পণ্য আমদানিকারক প্রতিষ্ঠান, সব ধরনের ব্যবসায়ী ও স্বার্থ সংশ্লিষ্টদের নিয়ে পর্যালোচনা বৈঠক করা হয়। গত সাত-আট মাস চিনি আমদানি কম হয়েছে। খেজুর আমদানিতে শুল্ক অনেক বেশি। খেজুর বন্দরে পৌঁছেছে। কিন্তু এলসি নিষ্পত্তি অনেক কম। এসব বিষয়ে দেখা হচ্ছে।

দেশের বাজারে নিত্যপণ্যের দাম বেশি—এই প্রশ্নের জবাবে বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র সচিব বলেন, আমদানিকৃত পণ্যের দাম মূলত বিশ্ববাজারের ওপর নির্ভর করে। বিশ্ব বাজারে দাম বেশি হলে স্বাভাবিকভাবেই দেশে আমদানি খরচ বেশি হয়। পরে আমদানি যাতে বাধাগ্রস্ত না হয় সে জন্য স্বার্থ সংশ্লিষ্টদের নিয়ে এই সভা ডাকা হয়েছে।

তেল ও চিনির দাম আন্তর্জাতিক বাজারে স্থিতিশীল রয়েছে জানিয়েছে বাণিজ্যসচিব বলেন, রমজানের শুরুতে সাত দিন ভোক্তারা বেশি পরিমাণে পণ্য কিনে থাকেন। এ কারণে দেশের বাজারে দাম বেড়ে যায়। এ বিষয়ে ভোক্তাদের সচেতন হওয়ার আহ্বান জানান তিনি।

অপর এক প্রশ্নের জবাবে বাণিজ্যসচিব বলেন, বাজারে কৃষিপণ্যের দাম কমে আসবে। পেঁয়াজ ও আলুর দাম আরও কমবে। ভারত পেঁয়াজ রপ্তানির নিষেধাজ্ঞা তুলে নিতে পারে। বাজারে ডিমের দাম স্থিতিশীল রয়েছে।

বাণিজ্য মন্ত্রণালয় সূত্রে জানা গেছে, দেশে বছরে চিনির চাহিদা ২০ লাখ টন। রমজানে তিন লাখ টন। দেশে উৎপাদন হয় ২১ হাজার টন। ভোজ্যতেল বছরে চাহিদা ২২ লাখ টন। রমজানে তিন লাখ টন। আর দেশে উৎপাদন হয় দুই লাখ ৩৪ হাজার টন। মসুর ডালের চাহিদা ৬ লাখ টন। দেশে উৎপাদন হয় এক লাখ ৪২ হাজার টন। খেজুর চাহিদা এক লাখ টন। পুরোটাই আমদানি নির্ভর। ছোলার চাহিদা এক লাখ ২০ হাজার টন। দেশে উৎপাদন হয় ৫ হাজার টন। পেঁয়াজের চাহিদা ২৬ লাখ টন। দেশে উৎপাদন হয় ২৭ লাখ তিন হাজার টন।

বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের তথ্য অনুযায়ী, গত এক মাসের ব্যবধানে আন্তর্জাতিক বাজারে পরিশোধিত ও অপরিশোধিত চিনি, অপরিশোধিত সয়াবিন তেল, পেঁয়াজ ও ছোলার দাম কমেছে।

নির্বাচনে ভোটার ও রাজনীতিবিদের নিরাপত্তা প্রশ্নের মুখে: দেবপ্রিয়

ক্রেতাদের হাতে উপহারের ফ্রিজ-টিভি হস্তান্তর করল ওয়ালটন

ভারতের ওপর কেন ৫০ শতাংশ শুল্ক দিল মেক্সিকো, নয়াদিল্লির ক্ষতি কতটা

হাদিকে হত্যাচেষ্টা: সন্দেহভাজন ফয়সালের ব্যাংক হিসাব জব্দ

ঢাকা চেম্বারের সেমিনার: বিদেশে চিকিৎসার ব্যয় বছরে ৫ বিলিয়ন ডলার

বছরের বড় হাটে দুই কোটি বেচাকেনা, ঊর্ধ্বমুখী দাম

ক্রেডিট কার্ডের ব্যবহার: বিদেশে বাংলাদেশিদের খরচ বাড়ল এক মাসেই ৫১ কোটি

এআই ডেটা সেন্টারে ব্যাপক চাহিদা, তামার দাম ১২ হাজার ডলার ছুঁই ছুঁই

জেসিআই বাংলাদেশের নতুন প্রেসিডেন্ট রাফি আহমেদ

চার গুণ বাড়িয়ে পেঁয়াজ আমদানি দৈনিক ৬ হাজার টন