হোম > অর্থনীতি

বিদ্যুতের উন্নয়ন কাগজে বেশি, বাস্তবে কম

‎নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা‎

দেশে বিদ্যুৎ খাতের উন্নয়ন নিয়ে আলোচনা হচ্ছে প্রচুর, কিন্তু বাস্তবে এ উন্নয়নের সঙ্গে কথিত অগ্রগতির মিল কম। উৎপাদনক্ষমতা বেড়েছে, কিন্তু যথাযথ ব্যবহার না হওয়ায় বড় অপচয় হয়। বিদ্যুতের জন্য ভূমি অধিগ্রহণ থেকে শুরু করে উৎপাদন পর্যন্ত এই অপচয় কমানো জরুরি।

আজ সোমবার রাজধানীর মহাখালীর ব্র্যাক ইন সেন্টারে সিপিডি আয়োজিত ‘রিসেন্ট প্রকিউরমেন্ট ইনিশিয়েটিভ অব রিনিউয়েবল এনার্জি আন্ডার দ্য পাবলিক প্রকিউরমেন্ট অ্যাক্ট অ্যান্ড রুলস’ শীর্ষক ডায়ালগে এসব বিষয় উঠে আসে।

সিপিডির গবেষণা পরিচালক খোন্দকার গোলাম মোয়াজ্জেম বলেন, দেশে এখন বিদ্যুৎ উৎপাদনে খরচ বেশি। কেনাকাটায় অনেক বেশি ব্যয় হয়। সরকারের কাছে বেসরকারি উদ্যোক্তারা পাওয়ার প্ল্যান্টের পরিত্যক্ত অংশে বায়ুবিদ্যুৎ উৎপাদনের অনুমতি চাইলে তা মেলে না। মূলত আইনি জটিলতায় বেড়ে যাচ্ছে খরচ। ক্ষতি হচ্ছে বিদ্যুৎ ব্যবসায়ীদের। বিদ্যুৎ উন্নয়ন বোর্ডের লোকসান দিন দিন বাড়ছে। ভবিষ্যতে আরও বাড়তে পারে। বিপিসি বছরের শুরুতে লোকসান দেখায়। কিন্তু বছর শেষে লাভ করে। সংস্থাটির আর্থিক হিসাব-নিকাশ প্রশ্নবিদ্ধ।

বিদ্যুৎ ও জ্বালানি উপদেষ্টা মুহাম্মদ ফাওজুল কবির খান বলেন, ‘সারা বিশ্বে সৌরবিদ্যুৎ তথা নবায়নযোগ্য জ্বালানির ব্যবহার বাড়ছে। নবায়নযোগ্য জ্বালানির উৎস বাড়াতে কাজ করছে সরকার। নবায়নযোগ্য জ্বালানির ব্যবহার বাড়াতে পারলে আমাদের বিদ্যুতের ওপর থেকে চাপ কমে আসবে। বিদ্যুৎ উৎপাদন নীতিমালা নিয়ে কাজ চলছে। উৎপাদনকারী ও ব্যবহারকারী সবার সুযোগ-সুবিধা বিবেচনা করা হবে।’

পাওয়ার গ্রিড বাংলাদেশের চেয়ারম্যান প্রফেসর ড. এম রেজওয়ান খান বলেন, দেশের বিদ্যুৎ উৎপাদন এবং ক্রয়নীতিমালা যুগোপযোগী করতে হবে। ক্রয়ের সময় বাজার মনিটরিং করতে হবে। বিশেষ করে জমি অধিগ্রহণ এবং পাওয়ার জেনারেশনে দক্ষতা বাড়াতে হবে। ক্রয়াদেশ প্রদানে উপযুক্ত ইপিসি ঠিকাদার নির্বাচন করতে হবে।

মূল প্রবন্ধে সিপিডির রিসার্চ অ্যাসোসিয়েট আতিকুজ্জামান শাহজীদ বলেন, বাংলাদেশে টেকসই বিদ্যুৎ খাত গড়ে তুলতে আগামী দুই দশকে বিপুল বিনিয়োগ প্রয়োজন হবে। বর্তমানে ১৬ হাজার ৬৫৫ মেগাওয়াট বিদ্যুৎ উৎপাদনে প্রয়োজন ১৮ বিলিয়ন মার্কিন ডলার। ২০৩৫ সালে ১২ হাজার ৮৩২ মেগাওয়াট বিদ্যুৎ উৎপাদনে লাগবে ১৩ বিলিয়ন মার্কিন ডলার এবং ২০৪১ সালে ১১ হাজার ১২৪ মেগাওয়াট উৎপাদনে প্রয়োজন হবে ১১ বিলিয়ন মার্কিন ডলার। সর্বমোট ৩২ বিলিয়ন মার্কিন ডলার ৩০টি বৈশ্বিক জলবায়ু তহবিল থেকে সংগ্রহ করা সম্ভব। আর নবায়নযোগ্য জ্বালানির সম্ভাবনা কাজে লাগাতে না পারলে জলবায়ু অভিযোজন ও নির্গমন হ্রাসের লক্ষ্য অর্জন কঠিন হয়ে যাবে।

বিশেষ ট্রাইব্যুনাল যেন গুদামঘর

কক্সবাজারে এমজিআইয়ের বার্ষিক সেলস কনফারেন্স

ষষ্ঠবারের মতো এইচএসবিসি এক্সপোর্ট এক্সিলেন্স অ্যাওয়ার্ড পেল ডিবিএল গ্রুপ

আরও কমেছে পেঁয়াজ আলু ও সবজির দাম

জাতীয় নির্বাচনের প্রার্থীদের ই-রিটার্ন দাখিলে এনবিআরের হেল্প ডেস্ক

আকাশপথে পণ্য পরিবহনে অফডক চান ব্যবসায়ীরা

আইএফআইসি ব্যাংকের পরিচালনা পর্ষদের জন্য মানি লন্ডারিং প্রতিরোধ বিষয়ক কর্মশালা অনুষ্ঠিত

বিএসআরএম স্টিলসের ২৩তম বার্ষিক সাধারণ সভা অনুষ্ঠিত

রোজার আগে কমেছে খেজুরের আমদানি শুল্ক

২০১৭ সালের পর সবচেয়ে খারাপ অবস্থানে ডলার