বাংলাদেশ ব্যাংক সঞ্চয়পত্র ও প্রাইজ বন্ড বিক্রিসহ পাঁচ ধরনের সেবা বন্ধ করতে যাচ্ছে বাংলাদেশ ব্যাংক। এ ছাড়া গ্রাহক পর্যায়ে ছেঁড়া-ফাটা নোট বদল, সরকারি চালান সেবা এবং ভাংতি টাকা চালান-সংক্রান্ত কার্যক্রম থেকে সরে আসার সিদ্ধান্ত নিয়েছে কেন্দ্রীয় ব্যাংক। ৩০ নভেম্বর থেকে প্রাথমিকভাবে বাংলাদেশ ব্যাংকের মতিঝিল অফিস এসব সেবা বন্ধ করে দেবে।
পর্যায়ক্রমে কেন্দ্রীয় ব্যাংকের ঢাকার বাইরে অন্যান্য বিভাগীয় অফিসেও এসব কার্যক্রম বন্ধ করে দেওয়া হবে। বর্তমান এসব সেবা দেওয়া মতিঝিল অফিসের ১২ কাউন্টার ৩০ নভেম্বরের পর বন্ধ হয়ে যাবে। তবে কেন্দ্রীয় ব্যাংক সেবা বন্ধ করলেও বাণিজ্যিক ব্যাংকের শাখাগুলোতে গ্রাহক এসব সেবা পাবেন বলে জানিয়েছেন সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিরা।
সূত্র জানায়, মতিঝিল অফিসের ১৬টি কাউন্টারে ধাতব মুদ্রা বিনিময়, স্মারক মুদ্রা বিক্রি, অপ্রচলিত নোটের বিরোধ নিষ্পত্তি ও ব্যাংকের সঙ্গে লেনদেন চলমান থাকবে। এসব সেবাও ভবিষ্যতে কীভাবে বন্ধ হবে এ বিষয়ে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত দিয়েছে গভর্নর। ভবিষ্যতে বাংলাদেশ ব্যাংকের অন্যান্য বিভাগে নিয়োগ কার্যালয় এই সেবা ধীরে ধীরে বন্ধ করে দেওয়ার নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে।
গুরুত্বপূর্ণ স্থাপনা-সংক্রান্ত কেপিআই নিরাপত্তা নীতিমালা অনুযায়ী, বাংলাদেশ ব্যাংক উচ্চ নিরাপত্তা স্তরভুক্ত। তাই বিশেষ নিরাপত্তার অংশ হিসেবে সাধারণ মানুষের যাতায়াত নিয়ন্ত্রিত করতে কেন্দ্রীয় ব্যাংক এ সিদ্ধান্ত নিয়েছে বলে জানিয়েছে কেন্দ্রীয় ব্যাংকের সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তারা।