নাগরিকত্ব পরিবর্তন করলেও যারা বাংলাদেশে উপার্জন অব্যাহত রেখেছেন এবং কর দেওয়ার দায় এড়িয়ে যাচ্ছেন, তাঁদের ওপর কর বসাতে চলেছে সরকার। সোমবার ২০২৫-২৬ অর্থবছরের বাজেটে এই প্রস্তাব করেন অর্থ উপদেষ্টা সালেহউদ্দিন আহমেদ।
বাজেট বক্তৃতায় অর্থ উপদেষ্টা বলেন, ‘জন্মসূত্রে বাংলাদেশি ছিলেন অথচ পরবর্তীতে বাংলাদেশি নাগরিকত্ব পরিত্যাগ করেছেন এমন ব্যক্তি কর্তৃক বাংলাদেশে অর্জিত আয়ের ওপর যথাযথভাবে কর পরিশোধ না করে নানা উপায়ে বিদেশে পাচারকৃত অর্থ সম্পদের ওপর কর ও জরিমানা আরোপের বিধান করা হয়েছে।’
বিশ্লেষকেরা বলছেন, এই বাজেট প্রস্তাবের লক্ষ্য হলো এমন সাবেক বাংলাদেশি নাগরিকদের কর আইনের আওতায় আনা, যারা বাংলাদেশে আয় করছেন (যেমন—ভাড়া, ব্যবসা, শেয়ারবাজার, সুদ ইত্যাদি থেকে), কিন্তু সেই আয়ের কর পরিশোধ করছেন না এবং নানা অবৈধ বা কৌশলে সেই অর্থ বিদেশে পাচার করছেন।
অর্থপাচার রোধ, রাজস্ব আয় নিশ্চিত, বাংলাদেশে আয় করা সব ব্যক্তিকে (নাগরিক হোক বা সাবেক নাগরিক) কর আইনের আওতায় আনা এবং কর ন্যায্যতা ও স্বচ্ছতা নিশ্চিত করতে এই উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে।
সংশ্লিষ্টরা আশা করছেন, এই উদ্যোগের ফলে আয় গোপন করে বিদেশে অর্থ পাচার করার প্রবণতা কমবে। বাংলাদেশের কর ন্যায্যতা ও শৃঙ্খলা প্রতিষ্ঠা পাবে। বিদেশে থাকা নাগরিকত্ব ত্যাগকারীদের আর্থিক দায়বদ্ধতা তৈরি হবে। অর্থনৈতিক স্বচ্ছতা ও জবাবদিহিতা বাড়বে।
এ বিষয়ে অর্থ মন্ত্রণালয়ের এক কর্মকর্তা আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘নাগরিকত্ব যেটাই হোক, বাংলাদেশে আয় করলে কর দিতে হবে। কর না দিয়ে অর্থ পাচার করলে জরিমানা দিতে হবে।’