বিশ্বখ্যাত পোলিশ পোশাক ব্র্যান্ড এলপিপি এসএ বাংলাদেশ থেকে পোশাক সোর্সিং উল্লেখযোগ্যভাবে বাড়ানোর বিষয়ে আগ্রহ প্রকাশ করেছে। ব্র্যান্ডটির প্রকিউরমেন্ট ডিরেক্টর জোয়ানা সিকোরস্কা আজ মঙ্গলবার বাংলাদেশ পোশাক প্রস্তুতকারক ও রপ্তানিকারক সংগঠনের (বিজিএমইএ) সভাপতি মাহমুদ হাসান খানের সঙ্গে সাক্ষাৎকালে এই আগ্রহ প্রকাশ করেন।
আজ রাজধানীর বিজিএমইএ কার্যালয়ে অনুষ্ঠিত এ বৈঠকে বিজিএমইএর পক্ষে আলোচনায় অংশ নেন সিনিয়র সহসভাপতি ইনামুল হক খান, সহসভাপতি (অর্থ) মিজানুর রহমান, পরিচালক শাহ রাঈদ চৌধুরী, পরিচালক মো. হাসিব উদ্দিন, পরিচালক নাফিস-উদ-দৌলা ও পরিচালক জোয়ারদার মোহাম্মদ হোসনে কমার আলম।
বৈঠকে এলপিপি এসএর প্রতিনিধিরা জানান, তাঁরা বাংলাদেশ থেকে আউটারওয়্যার, হেভি নিট, মেনস আন্ডারওয়্যার ও জগার্সের মতো পণ্যগুলোর সোর্সিং বাড়ানোর ক্ষেত্রে বিজিএমইএর সঙ্গে নিবিড়ভাবে কাজ করতে আগ্রহী।
আলোচনায় দীর্ঘমেয়াদি অংশীদারত্ব স্থাপন, সাপ্লাই চেইনে স্থিতিশীলতা ও স্বচ্ছতা নিশ্চিতকরণ এবং বাংলাদেশের পোশাকশিল্পের সক্ষমতা বাড়ানোর ওপর জোর দেওয়া হয়। পাশাপাশি ক্ষুদ্র ও মাঝারি কারখানাগুলোকে (এসএমই প্রতিষ্ঠানগুলো) আরএসসিতে অন্তর্ভুক্ত করার মাধ্যমে সরাসরি রপ্তানির সুযোগ তৈরি করার বিষয়েও উভয় পক্ষ আলোচনা করে।
উল্লেখ্য যে, এলপিপি এসএ বর্তমানে বাংলাদেশ থেকে বছরে ৭৭০ মিলিয়ন ডলারের পোশাক সংগ্রহ করে। বাংলাদেশকে তাদের সবচেয়ে বড় সোর্সিং হাব মনে করে এবং তাদের পছন্দের তালিকার শীর্ষে রয়েছে বাংলাদেশ।
এলপিপি এসএর প্রকিউরমেন্ট ডিরেক্টর জোয়ানা সিকোরস্কা বলেন, ‘বাংলাদেশ আমাদের জন্য একটি অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ সোর্সিং হাব। আমরা এখানে আমাদের ব্যবসায়িক ভিত্তি আরও শক্তিশালী করতে আগ্রহী এবং আমাদের সাপ্লাই চেইনে স্থিতিশীলতা বজায় রাখার জন্য কাজ করে যাব।’