ভোক্তা পর্যায়ে লিটারে ১৫ টাকা দাম বাড়ানো হয়েছে ডিজেল ও কেরোসিনের। নতুন দাম প্রতি লিটার ৮০ টাকা নির্ধারণ করা হয়েছে। আজ বুধবার জ্বালানি তেলের দাম ৬৫ থেকে বাড়িয়ে ৮০ টাকা নির্ধারণ করে প্রজ্ঞাপন জারি করেছে সরকার। যা আজ রাত ১২টা থেকে কার্যকর হবে।
উপসচিব শেখ মোহাম্মদ বেলায়েত হোসেনের সই করা প্রজ্ঞাপনে বলা হয়েছে, ২০১৯ সালের ১০ নভেম্বর জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ বিভাগের জারি করা স্মারকমূলে বিভিন্ন প্রকারের পেট্রোলিয়াম পণ্যের মধ্যে শুধুমাত্র ডিজেল ও কেরোসিনের মূল্য সংশোধন করা হলো।
ইস্টার্ন রিফাইনারি লিমিটেডে শোধিত এবং সরাসরি আমদানি/ক্রয়কৃত ডিজেল ও কেরোসিন বাংলাদেশ পেট্রোলিয়াম করপোরেশন তেল বিপণন কোম্পানিসমূহের কাছে নতুন মূল্যে সরবরাহ করবে। ডিজেলের কর-উত্তর মূল্য নির্ধারণ করা হয়েছে ৭৪ টাকা ৪৪ পয়সা। কেরোসিনের কর-উত্তর মূল্য নির্ধারণ করা হয়েছে ৭৫ টাকা ৪৯ পয়সা।
তবে অকটেনের দাম ৮৯ টাকা ও পেট্রোলের দাম আগের মতোই প্রতি লিটার ৮৬ টাকা থাকছে।
দেশে যত জ্বালানি তেল বিক্রি হয় তার প্রায় ৬৫ শতাংশই ডিজেল ও কেরোসিন। বাংলাদেশ পেট্রোলিয়াম করপোরেশন (বিপিসি) হিসাব বলছে, দেশে প্রতিদিন ১১ হাজার মেট্রিক টন ডিজেল বিক্রি হচ্ছে। আর কেরোসিন বিক্রি দিনে ৩০০ থেকে ৪০০ টনের মতো।
বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়, বর্তমান ক্রয়মূল্য বিবেচনা করে বাংলাদেশ পেট্রোলিয়াম করপোরেশন ডিজেলে লিটারপ্রতি ১৩ দশমিক ০১ এবং ফার্নেস অয়েলে লিটারপ্রতি ৬ দশমিক ২১ টাকা কমে বিক্রি করে। এতে প্রতিদিন প্রায় ২০ কোটি টাকা লোকসান হচ্ছে। অক্টোবর মাসে বাংলাদেশ পেট্রোলিয়াম করপোরেশন বিভিন্ন গ্রেডের পেট্রোলিয়াম পণ্য বর্তমান মূল্যে সরবরাহ করায় মোট ৭২৬ দশমিক ৭১ কোটি টাকা লোকসান হয়েছে।
সার্বিক পরিস্থিতি বিবেচনা করে সরকার শুধু ডিজেল ও কেরোসিনের মূল্য প্রতি লিটার ভোক্তা পর্যায়ে ৬৫ থেকে বাড়িয়ে ৮০ টাকা পুনর্নির্ধারণ করেছে।