ঢাকা: করোনা মোকাবিলা এবং দারিদ্র্য নিরসনে ৩০ কোটি ডলার ঋণ সহায়তা দেবে বিশ্বব্যাংক। দেশের ২০টি জেলায় এই ঋণ গ্রামীণ অর্থনীতি পুনরুদ্ধারে সহায়তা করবে। এ অর্থে ৯০ শতাংশ সুবিধাভোগী হবেন নারীরা। আজ মঙ্গলবার বিশ্বব্যাংকের এক বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়েছে।
বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, গত রোববার এ ঋণ চুক্তি সই হয়। বিশ্বব্যাংকের পক্ষে সংস্থাটির বাংলাদেশ ও ভুটানের কান্ট্রি ডিরেক্টর মার্সিয়া টেম্বন এবং বাংলাদেশের পক্ষে অর্থনৈতিক সম্পর্ক বিভাগের সচিব ফাতেমা ইয়াসমিন এতে স্বাক্ষর করেন।
বিজ্ঞপ্তিতে আরও বলা হয়, দরিদ্র জনগোষ্ঠীর দক্ষতা উন্নয়নে ‘রিলায়েন্স, এন্টারপ্রেনিউরশিপ অ্যান্ড লাইভলিহুড ইম্প্রুভমেন্ট (রেলি) ’ প্রকল্পের আওতায় এই ঋণে ৩ হাজার ২০০ গ্রামের সাড়ে ৭ লাখ লোক উপকৃত হবে। ৩০ বছর মেয়াদি এ ঋণের গ্রেস পিরিয়ড (সুদ মুক্ত) পাঁচ বছর। এ ঋণ ব্যবহার করে ৪ লাখ ৯০ হাজার মানুষকে জলবায়ু ঝুঁকি ও অভিযোজন বিষয়ক প্রশিক্ষণ দেওয়া হবে। পাশাপাশি ৫ হাজার ১২০টি জলবায়ু পরিবর্তন সহনশীল অবকাঠামো নির্মাণ করা হবে।
এ প্রসঙ্গে মার্সিয়া টেম্বন বলেন, কোভিড-১৯ মহামারিতে গ্রামীণ অঞ্চলের দরিদ্রদের, বিশেষ করে নারীদের আয় ও অর্থনৈতিক সুযোগ সীমাবদ্ধ হয়েছে। এই প্রকল্পের মাধ্যমে গ্রামীণ অর্থনীতিতে সহায়তা দেওয়া হবে। এ প্রকল্পের ৯০ শতাংশ সুবিধাভোগী হবেন নারীরা। প্রকল্পটি স্বাস্থ্য এবং পুষ্টি সচেতনতা বৃদ্ধিতে সহায়তা করবে।
এ ছাড়া বেকার যুবক এবং প্রত্যাবাসিত অভিবাসীদের কর্মসংস্থান তৈরি এবং দক্ষতা বিকাশে প্রশিক্ষণ দেওয়ার জন্য এ প্রকল্প কাজ করবে। সচিব ফাতিমা ইয়াসমিন বলেন, প্রকল্পটি ৮ম পঞ্চবার্ষিকী পরিকল্পনা এবং বাংলাদেশ ডেলটা পরিকল্পনা ২১০০-এর সঙ্গে সম্পর্কিত। এটি গ্রামীণ নারীদের দারিদ্র্য দূরীকরণ ও মহামারির ধাক্কা সামাল দিতে সহায়তা করবে।