হোম > বিশেষ সংখ্যা

সালামি দিতে মহানন্দ লাগে

মনজুর আলম

ছোটবেলায় আমরা যেভাবে ঈদ উদ্‌যাপন করতাম তার সঙ্গে এখনকার উদ্‌যাপনের অনেক পার্থক্য। ওই সময় আমরা অনেক আনন্দ করেছি। সকালে ঘুম থেকে ওঠার পর মা-বাবা আমাদের গোসল করিয়ে নতুন জামা পরিয়ে দিতেন। নতুন জামা পরে আমরা ঈদের জামাতে যেতাম। নামাজ পড়ে এসে মা-বাবাকে সালাম করতাম, এরপর খাওয়া-দাওয়া শেষ করে বের হতাম। পাড়া-প্রতিবেশী, আত্মীয়স্বজনের বাড়িতে যেতাম। এক বাসা থেকে আরেক বাসায় যেতাম, খুবই আনন্দ লাগত। গাড়ি ঠিক করে নানার বাড়ি, খালার বাড়ি, ফুফুর বাড়ি যেতাম। সবাইকে দেখে আসতাম। এক বাড়ি থেকে অন্য বাড়ি ঘুরে মহানন্দ পেতাম।

কিন্তু এখন সেটি হয়ে ওঠে না। এখন সকালে ঘুম থেকে উঠে নামাজ পড়তে যাই। নামাজ পড়ে এসে বাসায় বসি। এখন ছোটরা আমাদের দেখতে আসে। আত্মীয়স্বজনরা আসেন। ছোটবেলায় আমরা যেভাবে আত্মীয়স্বজনের বাড়িতে গিয়ে দোয়া নিয়েছি, এখন তারা আমাদের কাছে এসে দোয়া-আশীর্বাদ নেয়। ছোটবেলায় সালামি নিতাম, আর এখন দিতে পারলে অনেক ভালো লাগে। খুব আনন্দ পাই।

চট্টগ্রামে আমরা মসজিদে যাওয়ার সময় সেমাই খাই। মসজিদ থেকে ফিরে খাবার খাই। প্রতি ঘরে ঘরে কোর্মা-পোলাও রান্না করা হয়। এই ঐতিহ্য এখনো আছে। গ্রামে চুটকি পিঠা, গরুর মাংস, মুরগির মাংস রান্না করা হয়। সঙ্গে থাকে সাদা ভাত। ছোটবেলায় আমরা আত্মীয়স্বজনের বাসায় গেলে খুব মজা করে এসব খাবার খেতাম।

এখন আমাদের পরিবার হয়েছে, আমরা বুড়ো হয়েছি। আমাদের নাতি-নাতনি হয়েছে। ভাইদের ছেলেমেয়ে, নাতি-নাতনি হয়েছে। এখন ঈদের সব আনন্দ তাদের ঘিরে। তারা সবাই আসে, আমাদের সঙ্গে দেখা করে, আমাদের কাছ থেকে দোয়া নেয়। পাড়া-প্রতিবেশীর ছেলেমেয়েরা আসে, আমাদের সালাম করে। ঈদের একটা সালামি আছে, এই সালামি দিতে পারলে আমার মহানন্দ লাগে।

আমি একটা দায়িত্বে (মেয়র) ছিলাম। দায়িত্বে থাকার কারণে অনেকের সঙ্গে আমার একটা সম্পর্ক তৈরি হয়েছে। তাঁরা ঈদের দিন আমাকে দেখতে আসেন। ঈদের দিন আমরা এক-দুইটা গরু জবাই করি। বাসায় কোর্মা-পোলাওয়ের ব্যবস্থা করি। যাঁরা আমাকে দেখতে আসেন, তাঁদের সঙ্গে খাবার ভাগাভাগি করতে খুব ভালো লাগে। এক সঙ্গে আনন্দ ভাগাভাগি করি। কারণ, সারা বছর অনেকের সঙ্গে দেখা হয় না। তাঁরা ঈদের দিন আসেন। সবার সঙ্গে দেখা হয়, এটিই এখন খুব উপভোগ করি।

একটা জিনিসের এখন খুব অভাব। ছোটবেলায় আমরা হেঁটে এক বাড়ি থেকে অন্য বাড়িতে গিয়েছি। ঈদের পর দুই-তিন দিন ধরে আত্মীয়স্বজনের বাড়িতে যেতাম। এটি এখন অনেক কমেছে। আত্মীয়তার সম্পর্কগুলো এখন আগের মতো আছে মনে হয় না। এখন ছেলেমেয়েরা আত্মীয়স্বজনের বাড়িতে খুব কম যায়। এর পেছনে অবশ্য অনেক কারণ আছে। এখন তারা বন্ধু-বান্ধবীদের সঙ্গে আড্ডা দিতেই বেশি স্বাচ্ছন্দ্যবোধ করে। আমরা যখন ছোট ছিলাম তখন, প্রতিটি মসজিদে ঈদের জামাত হতো। এখন সেটিও নেই। এখন কয়েকটি এলাকা মিলে ঈদের বড় জামাত হয়।

ব্যবস্থাপনা পরিচালক, মোস্তফা হাকিম গ্রুপ

গ্রাহক অভিজ্ঞতা ও সন্তুষ্টিকে সর্বোচ্চ অগ্রাধিকার

নিরাপত্তা ও সেবায় মার্কেট শেয়ারে এগিয়ে সিটি ব্যাংক

১৫০০‍-এর বেশি এয়ারপোর্ট লাউঞ্জে সুবিধা দেয় ঢাকা ব্যাংক

মাস্টারকার্ডেই সহজ ও নিরাপদ লেনদেন

গ্রাহকের পছন্দের শীর্ষে ইসলামী ব্যাংকের খিদমাহ

লেনদেনে শীর্ষ স্থানই লক্ষ্য ইউসিবির

বিকাশ-এ ঈদ সালামি এখন আরও বর্ণিল

দাতা-গ্রহীতার দূরত্ব ঘুচিয়ে মানবতার মেলবন্ধন বিকাশ-এর ডোনেশন সেবায়

রমজানজুড়ে অনলাইন-অফলাইনে ঈদের সব কেনাকাটাই বিকাশ পেমেন্টে সঙ্গে থাকছে বিভিন্ন ডিসকাউন্ট ও ক্যাশব্যাক অফার

বিকাশ-এ পাঠানো রেমিটেন্স স্বস্তি এনেছে প্রবাসী ও স্বজনের জীবনে