বিজয় দিবস উপলক্ষে পিরোজপুর-২ আসনের নেছারাবাদে বিজয় শোভাযাত্রা করেছে বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামী। এটি জামায়াতের প্রার্থী শামীম বিন সাঈদীর নির্বাচন আচরণবিধি লঙ্ঘন বলে অভিযোগ করেছেন বিএনপির মনোনীত প্রার্থী আহম্মদ সোহেল মঞ্জুর সুমন।
আজ মঙ্গলবার (১৬ ডিসেম্বর) দুপুর ১২টার দিকে উপজেলা জামায়াতের কার্যালয় থেকে বিজয় শোভাযাত্রাটি বের করা হয়। এতে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন পিরোজপুর-২ (কাউখালী, নেছারাবাদ ও ভান্ডারিয়া) আসনে জামায়াতের প্রার্থী শামীম বিন সাঈদী। শোভাযাত্রাটি স্বরূপকাঠি পৌর শহরের প্রধান সড়কগুলো প্রদক্ষিণ করে পুনরায় দলীয় কার্যালয়ের সামনে গিয়ে শেষ হয়।
এ ঘটনায় বিকেলে নেছারাবাদ উপজেলা সদরের দলীয় কার্যালয়ে সংবাদ সম্মেলন করেন বিএনপির প্রার্থী সোহেল মঞ্জুর সুমন। তিনি অভিযোগ করেন, পিরোজপুর জেলা প্রশাসক ও রিটার্নিং অফিসারের নির্দেশনা অনুযায়ী বিএনপি মহান বিজয় দিবসে কোনো বিজয় র্যালি না করলেও একই নির্দেশ অমান্য করে জামায়াতে ইসলামীর প্রার্থী বিজয় র্যালি করেছেন, যা সুস্পষ্টভাবে নির্বাচন আচরণবিধি লঙ্ঘন।
সোহেল মঞ্জুর সুমন বলেন, ‘আমরা বিজয় দিবসে র্যালি করার আগ্রহ প্রকাশ করলেও জেলা প্রশাসক আমাদের তা থেকে বিরত থাকতে নির্দেশ দেন। বিষয়টি জামায়াতের প্রার্থীকেও অবগত করা হয়েছিল বলে জানানো হয়। আমরা প্রশাসনের নির্দেশ মেনে র্যালি করিনি। অথচ জামায়াতে ইসলামীর প্রার্থী শামীম বিন সাঈদী দলীয় কর্মী-সমর্থকদের নিয়ে নেছারাবাদে বিশাল বিজয় র্যালি করেছেন।’
বিএনপি প্রার্থী আরও বলেন, এ ঘটনার দ্রুত ব্যবস্থা না নেওয়া হলে ভবিষ্যতে জামায়াত প্রার্থী নির্বাচন আচরণবিধি লঙ্ঘন করতেই থাকবেন। এতে নির্বাচনে সমান সুযোগ বা লেভেল প্লেয়িং ফিল্ড নষ্ট হবে। এ কারণে জামায়াত প্রার্থীকে দ্রুত লিখিত শোকজ নোটিশ দেওয়ার আহ্বান জানান বিএনপি প্রার্থী।
নেছারাবাদ উপজেলা বিএনপির সাবেক সদস্যসচিব আব্দুল্লাহ আল বেরুনী সৈকত বলেন, ‘জেলা প্রশাসক আমাদের র্যালি করতে নিষেধ করেছিলেন, তাই আমরা করিনি। অথচ একই দিনে জামায়াত র্যালি করেছে। এটি স্পষ্ট নির্বাচন আচরণবিধি লঙ্ঘন। দ্রুত নোটিশ না দিলে তারা ভবিষ্যতেও এমন কর্মকাণ্ড করবে।’
অভিযোগের বিষয়ে নেছারাবাদ উপজেলা জামায়াতের সম্পাদক মো. আব্দুর রশিদ বলেন, ‘আমরা কোনো মিছিল করিনি, শুধু বিজয় দিবস উপলক্ষে বিজয় র্যালি করেছি। সারা দেশেই আমাদের কর্মসূচি ছিল। এ বিষয়ে আমাদের ওপর কোনো পূর্বনিষেধাজ্ঞা ছিল না।’
নেছারাবাদ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) অমিত দত্ত বলেন, ‘জামায়াতে ইসলামী বিজয় র্যালির জন্য আমার কাছ থেকে কোনো অনুমতি নেয়নি। জেলা প্রশাসক রিটার্নিং অফিসার হিসেবে দায়িত্বে রয়েছেন। তাঁর কাছ থেকেও অনুমতি নেওয়া হয়েছে বলে আমার জানা নেই।’
এ বিষয়ে পিরোজপুর জেলা প্রশাসক মো. আবু সাঈদ বলেন, ‘বিষয়টি সম্পর্কে বিস্তারিত জানার জন্য স্থানীয় ইউএনওর সঙ্গে কথা বলুন। তিনিই বিষয়টি ভালো বলতে পারবেন।’