শেরপুরের নালিতাবাড়ী উপজেলার পানিহাতা সীমান্তের মায়াঘাঁষি এলাকা থেকে একটি বন্য হাতির মরদেহ উদ্ধার করা হয়েছে। আজ শুক্রবার ভোরে মায়াঘাঁষি গ্রামের কৃষক চাঁন মিয়ার ধান খেত থেকে হাতির মরদেহটি উদ্ধার করা হয়।
এর আগে গত ৯ নভেম্বর জেলার শ্রীবরদী উপজেলার মালাকাচা এলাকার সানাঝুঁড়ি টিলা থেকে আরেকটি বন্য হাতির মরদেহ উদ্ধার করা হয়েছিল। এ নিয়ে ১০ দিনের ব্যবধানে জেলায় দুটি বন্য হাতির মরদেহ উদ্ধারের ঘটনা ঘটল।
বন বিভাগ ও প্রত্যক্ষদর্শীরা বলেন, গত কয়েক দিন ধরে খাদ্যের সন্ধানে নালিতাবাড়ী উপজেলার গারো পাহাড়ের পানিহাতা এলাকায় পাহাড় থেকে বন্য হাতির একটি দল লোকালয়ে নেমে এসে ফসলের খেতে হানা দেয়। এর মধ্যেই শুক্রবার ভোরে পানিহাতা সীমান্তের মায়াঘাঁষি এলাকায় ফসলি খেতের পাশে একটি বন্য হাতির মৃতদেহ পড়ে থাকার খবর পায় বন বিভাগ। উদ্ধার হওয়া বন্য হাতিটি মাদি এবং এটির বয়স দুই বছর।
এ বিষয়ে মায়াঘাঁশি গ্রামের কৃষক সোবহান আলী বলেন, ‘কয়েক দিন ধরেই হাতির দল ফসলি জমিতে নেমে আসছে। আজ শুক্রবার দিবাগত রাত আনুমানিক সাড়ে তিনটার দিকে হাতির প্রচণ্ড গর্জন শোনা যায়। মনে হচ্ছিল বাড়ি-ঘর কাঁপছে। পরে সকালে ধান খেতে এই হাতির মরদেহ দেখতে পাই।’
একই গ্রামের আব্বাস আলী (২৮) বলেন, ‘হাতির দল যেন ফসলের ক্ষতি করতে না পারে তাই এলাকাবাসী টর্চ, মশাল নিয়ে মধ্যরাত পর্যন্ত হাতি তাড়ানোর চেষ্টা করি। পরে আজ সকালে হঠাৎ হাতির মরদেহের খবর পাই।’
উপজেলা সহকারী প্রাণী সম্পদ কর্মকর্তা মঈন উদ্দীন আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘বন্য হাতিটি পুরুষ এবং বয়স আনুমানিক দুই বছর। হাতিটির দাঁত উঠতে শুরু করেছে। প্রাথমিক ভাবে ধারণা করা হচ্ছে অতিরিক্ত ধান খেয়ে অসুস্থতাজনিত কারণে হাতিটির মৃত্যু হয়েছে। তবে ময়নাতদন্তের পর বলা যাবে কীভাবে হাতিটির মৃত্যু হয়েছে। আমরা হাতিটির বিভিন্ন অঙ্গ পরীক্ষাগারে পাঠাব।’