ময়মনসিংহ-৯ নান্দাইল আসনে বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামী-সমর্থিত এমপি প্রার্থী আনোয়ারুল ইসলাম চাঁনের বিরুদ্ধে অন্যায় বিচার করা ও চাঁদাবাজির অভিযোগ তুলে পদত্যাগ করেছেন উপজেলা শিবিরের দপ্তর ও অর্থ সম্পাদক মিনহাজুল হক উসমানি।
মিনহাজুল এর আগে নান্দাইল উপজেলা পশ্চিম ও পূর্ব থানার সভাপতি ছিলেন।
গতকাল শনিবার রাতে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ফেসবুকে মিনহাজুল হক উসমানি পদত্যাগের বিষয়টি জানান। ফেসবুক পোস্টে তিনি বলেন, ‘ছাত্রশিবিরের উপজেলা সভাপতি থাকাকালীন, আমার বাবার সাথে নান্দাইল উপজেলা জামায়াতের এমপি প্রার্থী অন্যায় বিচার ও চাঁদাবাজি করল। আজ আবার সেই বিচারকে পুরো উপজেলা জামায়াত ও শিবিরের জেলা ও থানার নেতৃবৃন্দ সঠিক বলায় (শিবিরের সকল দায়িত্ব থেকে পদত্যাগ করছি) ! কোন কাগজ ও কথা না শুনেও নাকি মুখ দেখে ন্যায় বিচার করা যায়...কি আজব বিচার!! মহান রব সবাইকে সঠিক বুঝ দান করুক-আমিন।’
এ বিষয়ে মিনহাজুল আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘২০২২ সালের দিকে আমার বাবার টেন্ডারের গাছ আওয়ামী লীগের নেতারা লুট করে নেয়। সরকার পতনের পরে সেগুলো উদ্ধার করি। আনোয়ার নামের একজনকে শেয়ারে নিয়েছিল, যিনি ২৪ হাজার টাকা পাবেন। কিন্তু তাঁর পক্ষ দেড় লাখ টাকা দাবি করে। এটি নিয়ে উপজেলা জামায়াতের নেতাদের ও এমপি প্রার্থীর কাছে গেলে তাঁরা ফয়সালা না করে বরং ২ লাখ ৬১ হাজার টাকা দাবি করেন। সঠিক বিচার না করায় এবং চাঁদাবাজি করায় আমি পদত্যাগ করেছি।’
জামায়াত-সমর্থিত প্রার্থী আনোয়ারুল ইসলাম চাঁন বলেন, ‘অভিযোগ করেছে তার তো প্রমাণ দিতে হবে। উসমানির বাবার কাছে নান্দাইল বাজারের ব্যবসায়ী টাকা পাইত। সেটি সমাধানের জন্য আমার কাছে এসেছিল। পরে সেটি দেড় লাখ টাকায় সমাধান করে দিয়েছি। এখন সেখান থেকে বের হয়ে সে এমন পোস্ট দিয়েছে। আসলে নির্বাচনের আগে কেউ হয়তো তাকে দিয়ে এসব করাচ্ছে।’
উপজেলা জামায়াতের আমির কাজী শামসুদ্দিন বলেন, ‘গাছ বেচাকেনা নিয়ে ঝামেলা হয়েছে। আমরা ন্যায়বিচার পাইয়ে দিয়েছি। তারপরেও যদি এমন বলে, তা তো ঠিক না।’