কুষ্টিয়ার কুমারখালীতে ভ্যানচালক জাহিদুল ইসলামকে (৩০) হত্যা করার ঘটনায় ঘাতক জুয়েলের ফাঁসির দাবিতে ও জনসাধারণের নিরাপত্তা চেয়ে বিক্ষোভ মিছিল করেছে উপস্থিত জনতা। আজ বুধবার দুপুর ১২টার দিকে বিক্ষোভ মিছিল করা হয়। এর আগে বেলা ১১টার দিকে কুমারখালী বাসস্ট্যান্ড এলাকায় এই হত্যাকাণ্ড ঘটে। নিহত জাহিদুল ইসলাম খোকসার সাতপাঁখিয়া গ্রামের রিয়াজ উদ্দিনের ছেলে।
হত্যাকাণ্ডের ঘটনায় ঘাতক ওবাইদুর রহমান জুয়েলকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। গ্রেপ্তারকৃত ওবাইদুর রহমান কুমারখালী পৌরসভার ২ নম্বর ওয়ার্ডের রতনের ছেলে।
পুলিশ ও প্রত্যক্ষদর্শী সূত্রে জানা গেছে, আজ বেলা ১০টা ৪৫ মিনিটে বাসস্ট্যান্ড এলাকায় জাহিদুলের ভ্যানের সঙ্গে জুয়েলের মোটরসাইকেলের হালকা ধাক্কা লাগে। এ নিয়ে তাঁদের মধ্যে বাগ্বিতণ্ডা, কথা-কাটাকাটি ও হাতাহাতি হয়। একপর্যায়ে জুয়েলের কাছে থাকা ধারালো চুরি দিয়ে জাহিদুল ইসলামের গলায় আঘাত করেন। এতে চালক সড়কে লুটিয়ে পড়েন। স্থানীয়রা তাঁকে উদ্ধার করে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে যান। এ সময় সেখানকার কর্তব্যরত চিকিৎসক তাঁকে মৃত ঘোষণা করেন। পরে উপস্থিত জনতারা ঘাতককে আটক করে পুলিশের কাছে হস্তান্তর করে।
এদিকে, প্রকাশ্যে হত্যাকাণ্ডের ঘটনায় জুয়েলের ফাঁসির দাবিতে ও জনসাধারণের নিরাপত্তা চেয়ে বিক্ষোভ মিছিল করেছে উপস্থিত জনতা। দুপুর সাড়ে ১২টার দিকে মিছিলটি বাসস্ট্যান্ড থেকে বের হয়ে স্টেশন বাজার, থানা মোড় ও থানা চত্বর প্রদক্ষিণ করে পুনরায় একই জায়গায় এসে শেষ হয়।
কুমারখালী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) কামরুজ্জামান তালুদার বলেন, কথা-কাটাকাটির জেরে ছুরিকাঘাতে অজ্ঞাত ভ্যানচালককে হত্যা করা হয়। ঘটনার পর ঘাতককে গ্রেপ্তার করা হয়েছে।
ওসি আরও বলেন, এ বিষয়ে এখন পর্যন্ত কেউ লিখিত অভিযোগ করেনি। তবে জুয়েল প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে হত্যাকাণ্ডের দায় স্বীকার করেছেন।