দশ থেকে বারো বছর ধরে আলসার, পেটে ব্যথাসহ বিভিন্ন রোগে ভুগছিল দিনমজুর রব্বানী শেখ (৪৮)। অনেক অর্থ ও সময় ব্যয় করে অনেক ডাক্তার দেখিয়েছেন। পরীক্ষা-নিরীক্ষাও করিয়েছেন। তবুও সেসব রোগ থেকে আরোগ্য মেলেনি। তাই তিনি ক্ষোভে আম গাছের সঙ্গে রশি বেঁধে গলায় ফাঁস লাগিয়ে ‘আত্মহত্যা’ করেছেন বলে জানা গেছে।
আজ বুধবার ভোরে কুষ্টিয়ার কুমারখালী উপজেলার নদন্দনালপুর ইউনিয়নের দড়ি কোমরপুর গ্রামে এ ঘটনা ঘটে। নিহত রব্বানী শেখ ওই গ্রামের মৃত মসলেম শেখের ছেলে ও দুই সন্তানের বাবা।
নিহতের পরিবার ও পুলিশ বলছে, গত ১০-১২ বছর ধরে রব্বানী শেখ আলসার, পেটের ব্যাথাসহ নানান জটিল রোগে ভুগছিলেন। অনেক চেষ্টা করে অর্থ ব্যয় করেও কোনোভাবেই রোগ মুক্তি হচ্ছিল না। তাই তিনি ক্ষোভে বাড়ির পাশের আমগাছে রশি ঝুলিয়ে গলায় ফাঁস দিয়ে আত্মহত্যা করেছেন।
এ বিষয়ে নদন্দনালপুর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান জিয়াউর রহমান খোকন বলেন, ‘দীর্ঘদিন ধরেই তিনি রোগে ভুগছিল। তাঁর দুই ছেলে হাফিজিয়া পড়াশোনা করছে। পরিবারে উপার্জন করার আর কেউ নেই। কামলা খেটে যা পায় তা দিয়ে রোগের চিকিৎসা, সংসার চালানো ও ছেলেদের পড়াশোনা করানো তাঁর কাছে অসহনীয় হয়ে পড়েছিল। তাই ক্ষোভে আত্মহত্যা করেছে বলে ধারণা করা হচ্ছে।’
এ বিষয়ে কুমারখালী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) কামরুজ্জামান তালুকদার বলেন, ‘পরিবার গাছ থেকে মরদেহ নামিয়ে পুলিশকে খবর দেয়। খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে মরদেহের সুরতহাল করে। পরিবারের অভিযোগ না থাকায় ময়নাতদন্ত ছাড়াই মরদেহ হস্তান্তর করা হয়েছে।’
ওসি আরও বলেন, ‘চলমান চিকিৎসার কাগজপত্র দেখে জানা যায়, তিনি জটিল রোগে ভুগছিলেন। অসুস্থতার ক্ষোভেই আত্মহত্যা করেছে বলে প্রাথমিকভাবে ধারণা করা হচ্ছে।’