হোম > সারা দেশ > কুষ্টিয়া

কুমারখালীতে আ.লীগের দুপক্ষের সংঘর্ষ, আহত ৩০ 

কুমারখালী (কুষ্টিয়া) প্রতিনিধি

কুষ্টিয়ার কুমারখালীতে স্কুলের পরিচালনা পর্ষদের নির্বাচনকে কেন্দ্র করে আওয়ামী লীগের দুপক্ষের সংঘর্ষের ঘটনা ঘটেছে। এতে উভয় পক্ষের অন্তত ৩০ জন আহত হন এবং বেশ কিছু ঘরবাড়ি, দোকানপাট ভাঙচুর ও লুটপাটের খবর পাওয়া গেছে। 

আজ সোমবার সকাল থেকে দুপুর পর্যন্ত উপজেলার পান্টি ইউনিয়নের সান্দিয়ারা বাজার ও বশীগ্রাম ব্রিজ এলাকায় এ ঘটনা ঘটে। 

এদিকে খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌঁছে দুপক্ষকে ছত্রভঙ্গ করে দেয়। এলাকায় আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি স্বাভাবিক রাখতে অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন রয়েছে। প্রাথমিকভাবে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য তিনজনকে আটক করেছে পুলিশ। 

পুলিশ, আওয়ামী লীগের নেতা-কর্মী ও এলাকাবাসী সূত্রে জানা গেছে, দীর্ঘদিন ধরে জেলা আওয়ামী লীগের জ্যেষ্ঠ সহসভাপতি বীর মুক্তিযোদ্ধা জাহিদ হোসেন জাফর গ্রুপের সঙ্গে পান্টি ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক সামিউর রহমান সুমন মিঞা গ্রুপের বিরোধ চলে আসছে। যেকোনো ঘটনায় এলাকায় দুটি পক্ষপাতিত্ব সৃষ্টি হয়। 

গত রোববার পান্টির ডাঁসা মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের পরিচালনা পরিষদের নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়। এতে সুমন মিঞা গ্রুপ প্যানেল বিজয়ী হন। এ নিয়ে এলাকায় উত্তেজনা চলছিল। এরই ধারাবাহিকতায় নির্বাচনে বিজয়ী গোলাম নবী সোমবার সকালে সান্দিয়ারা বাজারে প্রতিপক্ষের ডাঁসা এলাকার নেতৃত্বদানকারী ব্যবসায়ী মামুনের বাবা বীর মুক্তিযোদ্ধা শরিফুল ইসলাম দুলালকে কটূক্তি করেন। এ সময় মামুনের সমর্থকেরা গোলাম নবীকে পিটিয়ে আহত করেন। এ নিয়ে এলাকায় ব্যাপক উত্তেজনা সৃষ্টি হয়। উভয় পক্ষের মধ্যে সান্দিয়ারা বাজার ও বশীগ্রাম ব্রিজ এলাকায় সকাল থেকে দুপুর পর্যন্ত রামদা, ঢাল, সড়কি, লাঠিসোঁটা, ইটপাটকেল নিয়ে পাল্টাপাল্টি ধাওয়া ও সংঘর্ষ হয়। 

এ ঘটনায় উভয় পক্ষের অন্তত ৩০ জন আহত হয়েছেন। এতে বেশ কিছু ঘরবাড়ি, দোকানপাট ভাঙচুর ও লুটপাট করা হয় বলে জানিয়েছেন এলাকাবাসী। আহত ব্যক্তিরা কুমারখালী উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সসহ বিভিন্ন হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছেন। প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদের জন্য ঘটনাস্থল থেকে তিনজনকে আটক করেছে পুলিশ। 

এ বিষয়ে পান্টি ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক সামিউর রহমান সুমন বলেন, ‘রোববার স্কুল ভোটে আমার প্যানেল বিজয়ী হয়। সোমবার সকালে বিজয়ী গোলাম নবী সান্দিয়ারা বাজারে গেলে প্রতিপক্ষের লোকজন মারপিট করে আহত করে। পরে দুপক্ষের ধাওয়া-পাল্টাধাওয়া হয়। এতে গোলাম নবী, হৃদয়, হাসান, মহব্বত, টিপুসহ আমার ১০ জন লোক আহত হয়ে হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছে। এ নিয়ে থানায় মামলা করা হবে।’ 

জাহিদ হোসেন জাফর সমর্থক মামুনের বাবা বীর মুক্তিযোদ্ধা শরিফুল ইসলাম দুলাল বলেন, ‘সুমন মিঞার নেতৃত্বে প্রতিপক্ষের লোকজন আমাদের কটূক্তি করে এবং রামদা, ঢাল, সড়কি, লাঠিসোঁটা, ইটপাটকেল নিয়ে আক্রমণ করে। এ সময় আমাদের লোকজন প্রতিহত করে। এতে আমাদের প্রায় ২০ জন আহত হয়ে চিকিৎসাধীন রয়েছে। বেশ কিছু ঘরবাড়ি ও দোকানপাট ভাঙচুর ও লুটপাট করেছে প্রতিপক্ষরা।’ 

জেলা আওয়ামী লীগের জ্যেষ্ঠ সহসভাপতি বীর মুক্তিযোদ্ধা জাহিদ হোসেন জাফর বলেন, ‘স্কুল নির্বাচন ও পূর্বশত্রুতার জেরে এ ঘটনা ঘটেছে। আমি এলাকার বাইরে আছি। তবে এরা উভয় পক্ষ আওয়ামী লীগের লোকজন।’ 

কুমারখালী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) কামরুজ্জামান তালুকদার বলেন, স্কুল নির্বাচনকে কেন্দ্র করে আওয়ামী লীগের দুপক্ষের মধ্যে পাল্টাপাল্টি ধাওয়া ও সংঘর্ষের ঘটনা ঘটেছে। এতে উভয় পক্ষের সমর্থকেরা আহত হয়েছেন। তবে আহত ব্যক্তির সংখ্যা এখনো জানা যায়নি। 

কামরুজ্জামান তালুকদার আরও বলেন, এলাকায় অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন রয়েছে। প্রাথমিকভাবে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য তিনজনকে আটক করা হয়েছে। তবে এখনো কোনো লিখিত অভিযোগ পাওয়া যায়নি। 

কুষ্টিয়ায় প্রথম আলো অফিসে হামলা ও ভাঙচুর

কুষ্টিয়ায় যৌথ বাহিনীর অভিযানে আটক ৫

রসুনের খেতে মুরগি যাওয়ায় মারামারি, বল্লমের আঘাতে যুবক খুন

কুষ্টিয়ায় কাভার্ড ভ্যানচাপায় ২ পুলিশ কর্মকর্তা নিহত

মুক্তিযুদ্ধ নিয়ে যা বললেন জামায়াতের আমির হামজা

সুদানে শান্তিরক্ষী মিশনে হামলায় আহত লে. কর্নেল খালেকুজ্জামান, উদ্বেগে পরিবার

কুষ্টিয়ায় শেষ হলো তিন দিনব্যাপী সাইনোটাইপ কর্মশালা

দৌলতপুরে মাদ্রাসাছাত্রী ধর্ষণের অভিযোগে ভ্যানচালক কারাগারে

কুষ্টিয়ায় প্রাইভেট কার থামিয়ে ডাকাতি, ভিডিও ভাইরাল

কুষ্টিয়া সীমান্তে বিজিবির বিশেষ নিরাপত্তা বলয়: জিরো লাইনে চলাচলে নিষেধাজ্ঞা