কুমিল্লার মুরাদনগরে নিখোঁজের সাত দিন পর পুকুর থেকে গলায় রশি ও তাতে পাথর বাঁধা অবস্থায় এক শিশুর লাশ উদ্ধার করেছে পুলিশ। ছয় বছরের শিশুটির নাম আদিবা জাহান মীম। আজ বৃহস্পতিবার বিকেলে উপজেলার বাঙ্গরা বাজার থানার সীমানারপাড় গ্রামের একটি পুকুর থেকে শিশুটির লাশ উদ্ধার করা হয়।
আদিবা জাহান মীম সীমানারপাড় গ্রামের আবু হানিফের মেয়ে। সে ২৪ অক্টোবর বিকেল থেকে নিখোঁজ ছিল।
স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, ২৪ অক্টোবর বিকেলে বাড়ির আঙিনায় খেলছিল আদিবা। সন্ধ্যার পর থেকে তাকে না পেয়ে স্বজনেরা প্রথমে বাড়ির আশপাশে, পরে রাতভর বিভিন্ন স্থানে খোঁজাখুঁজি করেন। কোনো খোঁজ না পাওয়ায় পরদিন থানায় সাধারণ ডায়েরি (জিডি) করা হয়।
আজ দুপুরে স্থানীয় বাসিন্দা হানিফ মিয়া পুকুরপাড়ে বাঁশ কাটতে গিয়ে পানিতে ভাসমান অবস্থায় আদিবার লাশ দেখতে পেয়ে এলাকাবাসীকে জানান। খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে লাশ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য কুমিল্লা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের মর্গে পাঠায়।
স্থানীয় বাসিন্দাদের ধারণা, শিশুটিকে নির্যাতনের পর হত্যা করা হয়েছে এবং ঘটনাটি গোপন করতে গলায় রশি পেঁচিয়ে পাথর বেঁধে পানিতে ফেলে দেওয়া হয়েছে।
শিশুর বাবা আবু হানিফ বলেন, ‘ঢাকায় চাকরি করার কারণে গ্রামে কম আসতে পারি। ঘটনার দিন বাড়িতে ছিলাম। অসুস্থ থাকায় আদিবাকে সঙ্গে নিয়ে বাজারে যেতে পারিনি। সন্ধ্যায় ফিরে জানতে পারি, সে খেলতে গিয়ে আর বাড়ি ফেরেনি। আমরা পুকুরেও খোঁজ করেছি, কিন্তু তখন কিছুই পাইনি। আমি চাই আর কোনো বাবা যেন এভাবে সন্তান হারানোর বেদনা না পান। খুনিদের দ্রুত গ্রেপ্তার করে দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি দেওয়া হোক।’
বাঙ্গরা বাজার থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মাহফুজুর রহমান আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘ঘটনাটি অত্যন্ত সংবেদনশীল। আমরা সর্বোচ্চ গুরুত্ব দিয়ে তদন্ত শুরু করেছি। আইনগত প্রক্রিয়া চলমান এবং ঘটনার সূত্র উদ্ঘাটন করে জড়িতদের গ্রেপ্তারে পুলিশ কাজ করছে।’
এদিকে, ঘটনাস্থলে পরিদর্শন করেছেন মুরাদনগর সার্কেলের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার এ কে এম কামরুজ্জামান।