কুষ্টিয়ার কুমারখালী উপজেলার রাস্তার ওপর খনন করা পুকুরে সেতুর নির্মাণকাজ শুরু হয়েছে। তবে কাজ চলছে কচ্ছপ গতিতে। এ ছাড়া সেতু এলাকায় টাঙানো হয়নি নির্মাণকাজের কোনো সাইনবোর্ড।
আজ সোমবার সকালে নির্মাণাধীন সেতু এলাকায় গিয়ে দেখা যায়, উপজেলার পান্টি-বাঁশগ্রাম সড়কের কাঁচিকাটা স্থানের ওপর কাটা পুকুরে দুজন শ্রমিক সেতু নির্মাণের কাজ করছেন। কিন্তু নির্মাণাধীন এলাকায় নেই কোনো দুর্ঘটনা প্রতিরোধক ব্যবস্থা। আবার রাস্তার মধ্যে থাকা নির্মাণ সামগ্রীগুলো রাখা হয়েছে যত্রতত্রভাবে।
এ বিষয়ে গত ৭ ডিসেম্বর আজকের পত্রিকার প্রথম পাতায় ‘সেতুর কোনো খোঁজ নেই রাস্তার ওপর ‘পুকুর’’-শিরোনামে একটি সংবাদ প্রকাশিত হয়।
জানা যায়, উপজেলার চাঁদপুর, বাগুলাট ও পান্টি ইউনিয়নের প্রায় এক লাখ মানুষ চলাচল করে এই সড়ক দিয়ে। এ ছাড়া পার্শ্ববর্তী শৈলকূপা উপজেলার একাংশ কুষ্টিয়া শহরের সঙ্গে যোগাযোগ রক্ষা করে এই সড়ক দিয়ে। ফলে যাতায়াতকারীদের কাছে সড়কটি বেশ গুরুত্বপূর্ণ। কিন্তু কাঁচিকাটা এলাকার সেতুটি প্রায় এক বছর পূর্বে নতুন করে নির্মাণের জন্য ভাঙা হয়েছিল। ভেঙে সেখানে কাঁটা হয় একটি পুকুর। চলাচলের জন্য বিকল্প সড়ক না থাকাতে প্রায়ই ঘটে দুর্ঘটনা।
এলাকা সূত্রে জানা যায়, মানসম্মত বিকল্প সড়ক নির্মাণের কথা বলা হলে ঠিকাদারের লোকজন নানা ধরনের হুমকি দিতেন। পুকুর কাটার কিছুদিন পর ঠিকাদারের লোকজন ও শ্রমিকেরা চলে যান। পরে স্থানীয় উদ্যোগে বিকল্প সড়ক তৈরি করে চলাচল সচল করা হয়। এভাবেই কেটে যায় বছর।
এ বিষয়ে নির্মাণকাজের শ্রমিক রতন বলেন, ‘পত্রিকায় খবর প্রকাশিত হওয়ার পর ঠিকাদার কাজ শুরু করেছে। তবে কাজের জন্য নেওয়া হয়েছে কম লোক। আমরা দুজন সেতুর বেজ ঢালাইয়ের জন্য রড বাঁধার কাজ করছি।’
এ বিষয়ে কাজের ঠিকাদার নজরুল ইসলাম মুঠোফোনে বলেন, ‘আজ কমসংখ্যক লোক কাজ করছে। আস্তে আস্তে লোক বাড়ানো হবে। আশা করছি এক-দেড় মাসের মধ্যে সেতুর কাজ শেষ হবে।’
চাঁদপুর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান রাশেদুজ্জামান তুষার বলেন, ‘আজকের পত্রিকায় সংবাদ প্রকাশের কয়েক দিন পরেই ঠিকাদার কাজ শুরু করেছে। কিন্তু কম শ্রমিকের কারণে কচ্ছপ গতিতে চলছে কাজ। আমরা দ্রুত সেতুর বাস্তবায়ন চাই।’
এ বিষয়ে উপজেলা প্রকৌশলী মো. আব্দুর রহিম বলেন, ‘সেতুর কাজ শুরু হয়েছে। তদারকি করা হচ্ছে। আশা করছি দ্রুত সময়ের মধ্যে কাজ শেষ করবে ঠিকাদার।’