সাতক্ষীরার শ্যামনগরে শিক্ষকের পিটুনিতে আহত এক স্কুলছাত্রীকে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। গতকাল বুধবার দুপুর ১২টার দিকে নূরনগর আশালতা মাধ্যমিক বিদ্যালয়ে এ ঘটনা ঘটে।
ছাত্রীর বাবা জানান, শ্রেণিকক্ষের ফ্যান ছাড়ার অভিযোগে শিক্ষক নাজমুল হোসেনের পিটুনিতে আহত হয় তাঁর মেয়ে। শিক্ষকের এলোপাতাড়ি মারপিটের সময় পাঠদানকক্ষের জানালার গ্রিলের সঙ্গে মাথায় ধাক্কা লাগলে মাশকুরা জ্ঞান হারিয়ে ফেলে। পরে তাকে অন্য শিক্ষকেরা স্থানীয় ফ্রেন্ডশিপ হাসপাতালে ভর্তি করে।
মাশকুরার সহপাঠীরা জানায়, পাঠদান চলাকালে শ্রেণিকক্ষের ফ্যান বন্ধ ছিল। এ সময় কয়েকজন শিক্ষার্থীর অনুরোধে মাশকুরা ফ্যানের সুইচ ‘অন’ করলে শ্রেণিশিক্ষক নাজমুল ক্ষিপ্ত হয়ে তাকে মারধর শুরু করে। শুরুতে স্টিলের স্কেল দিয়ে হাতে পিটুনি দিলেও একপর্যায়ে তিনি হাত দিয়ে মারধর শুরু করেন। পরে মাশকুরা শ্রেণিকক্ষের জানালার গ্রিলের সঙ্গে মাথায় ধাক্কা লাগলে জ্ঞান হারিয়ে ফেলে।
অভিযুক্ত শিক্ষক নাজমুল হোসেন জানান, শাসনের জন্য তিনি মারতে উদ্যত হয়েছিলেন। তবে মাশকুরা ভয়ে মাথা সরিয়ে নেওয়ার কারণে গ্রিলের সঙ্গে ধাক্কা লেগে আহত হয়েছে।
বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক শামিম হোসেন বলেন, বিষয়টি নিয়ে ছাত্রীর বাবার সঙ্গে শিক্ষকদের একটা সমঝোতা হয়েছে।
শ্যামনগর থানার ওসি হুমায়ূন কবির জানান, ‘বিষয়টি আমার জানা নেই। কেউ এ বিষয়ে থানায় অভিযোগ দেয়নি।’