সাতক্ষীরার কালীগঞ্জে জমির সীমানায় শৌচাগারের চেম্বার নির্মাণকে কেন্দ্র করে ভাতিজার দায়ের কোপে চাচা নিহত হয়েছেন। আজ মঙ্গলবার নিহতের মরদেহ ময়নাতদন্তের জন্য নেওয়া হবে। এ ঘটনা ঘটেছে গতকাল সোমবার বিকেল ৫টার দিকে, উপজেলার গণেশপুর গ্রামে।
এদিকে ঘটনার পর স্থানীয়রা অভিযুক্ত হাবিবুল্লাহকে আটক করে গণধোলাইয়ের পর পুলিশে সোপর্দ করে।
নিহতের নাম সাইফুল ইসলাম (৩২)। তিনি উপজেলার গণেশপুর গ্রামের আলাউদ্দিন গাজীর ছেলে। অভিযুক্ত হাবিবুল্লাহ নিহতের বড় ভাই সামাদের ছেলে। তিনি রতনপুর আইডিয়াল কলেজের স্নাতক শিক্ষার্থী।
নিহতের স্ত্রী বিলকিস বেগম জানান, তাঁর স্বামী সাইফুল কয়েক মাস আগে ভারতের তামিলনাড়ুতে কাজ করতে যান। গত ৮ মে তিনি বাড়িতে ফিরে আসেন।
বিলকিস বেগম আরও জানান, তাঁর ভাশুর আব্দুস সামাদ গাজী তার অংশ অনুযায়ী সীমানা নির্ধারণ করে সেখানে বাড়িঘর বানিয়ে বসবাস করছেন। এর পরও তিনি তাঁদের (সাইফুল) সীমানার মধ্যে জমি আছে বলে দাবি করেন। এ নিয়ে বিরোধও হয়েছে কয়েকবার। সোমবার বিকেল ৫টার দিকে তাঁর স্বামী নিজের সীমানার মধ্যে শৌচাগারের হাউস বানাতে গেলে ভাশুর সামাদ গাজী এসে শাবল দিয়ে সাইফুলের মাথায় আঘাত করতে যান। এ সময় সাইফুল সেই শাবল ধরে ফেললেও সামাদের ছেলে হাবিবুল্লাহ ধারালো রাম দা দিয়ে তাঁর পেট ও হৃৎপিণ্ডের ওপর কোপ দেন। এতে সাইফুলের নাড়িভুঁড়ি বের হয়ে যায়। প্রতিবেশীরা মোটরসাইকেলে করে সাইফুলকে প্রথমে কালীগঞ্জ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে যায়। সেখানে তাঁর অবস্থার অবনতি হওয়ায় তাঁকে সাতক্ষীরা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে যাওয়ার পথে সন্ধ্যার দিকে মৃত্যু হয় সাইফুলের। এ সময় ক্ষুব্ধ জনতা হাবিবুল্লাহকে মারধর করে এবং গাছের সঙ্গে বেঁধে রাখে। পরে তাঁকে পুলিশে সোপর্দ করা হয়।
এ বিষয়ে কালীগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) গোলাম মোস্তফা বলেন, ‘মরদেহের ময়নাতদন্তের জন্য আজ মঙ্গলবার সদর হাসপাতালের মর্গে পাঠানো হবে। এ ঘটনায় মামলার প্রস্তুতি চলছে। ঘাতক হাবিবুল্লাহকে হত্যাকাণ্ডে ব্যবহৃত দাসহ গ্রেপ্তার করা হয়েছে।’