বিদ্যালয়ে সততা স্টোর নামে বড়সড় দোকান খুলেছেন স্কুলের নিরাপত্তাকর্মী জসিম খন্দকার। মহম্মদপুরের বালিদিয়া মাধ্যমিক বিদ্যালয়ে সততা স্টোরের নামে দীর্ঘদিন ধরে ব্যবসায়িক দোকান খোলার অভিযোগ উঠেছে তার বিরুদ্ধে।
সরেজমিনে গিয়ে দেখলেই বোঝা যাবে এটি সততা স্টোর নয়। সততা স্টোরের নামে বড়সড় দোকান পরিচালনা করা হচ্ছে। দোকানের ভেতরে রয়েছে ফ্রিজ। বিদ্যালয় আঙিনায় খোলা দোকানটিতে বিপুল পরিমাণ বিভিন্ন প্রকার পণ্য রয়েছে।
নিয়ম অনুযায়ী, জিনিসপত্রের গায়ে ও প্যাকেটে বিক্রয় মূল্য লেখা থাকবে। সেই দাম অনুযায়ী খাতা-কলম বা অন্য কোনো শিক্ষা সামগ্রী এবং টিফিন (কেক, বিস্কুট, চকলেট ইত্যাদি) নিয়ে নির্ধারিত বাক্সে টাকা রাখতে হবে।
এভাবে কোনো রকম দরদাম ছাড়াই শিক্ষার্থীরা কেনাকাটা করতে পারবে ‘সততা স্টোর’ থেকে। ওই দোকান থেকে শিক্ষার্থীরা সহজেই নিজেদের প্রয়োজনীয় জিনিসপত্র ক্রয় করতে পারবে এবং রাখতে পারবে সততার স্বাক্ষর।
কিন্তু মহম্মদপুর উপজেলার বালিদিয়া মাধ্যমিক বিদ্যালয় আঙিনায় গড়ে তোলা ‘সততা স্টোর’ টিকে পুরোদমে বাজারের ব্যবসায়িক দোকানের মতো পরিচালনা করেন নিরাপত্তাকর্মী।
গতকাল বৃহস্পতিবার দুপুর ১২টার দিকে সরেজমিনে উপজেলার বালিদিয়া মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের সততা স্টোরের খোঁজ নিতে গেলে দেখা যায়, স্থানীয় বাসিন্দা আকবার আলী খন্দকারের ছেলে জসিম খন্দকার দোকানটি পরিচালনা করছেন। দোকান পরিচালনায় থাকা লোকটি এ বিদ্যালয়েরই নিরাপত্তাকর্মী হিসেবে কর্মরত।
নাম প্রকাশ না করার শর্তে স্থানীয় এক ব্যক্তি জানান, দোকানের ফ্রিজটি নিরাপত্তাকর্মী জসিমের এবং তাকে দিয়েই ব্যবসায়ীদের মত ব্যবসা পরিচালনা করছেন ওই স্কুলের প্রধান শিক্ষক।
এ বিদ্যালয়ের ষষ্ঠ শ্রেণির ছাত্রী তামান্না এবং সপ্তম শ্রেণির ছাত্র অয়েজ কুরুনি জানায়, তারা সততা স্টোর থেকে জসিমের কাছ থেকে প্রয়োজনীয় পণ্য ক্রয় করেন। পণ্যের দাম দেখে কিছু কিনে টাকা রেখে যাব তার কোনো সুযোগ নেই।
ওই বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক মাফুজার রহমান বলেন, ‘সততা স্টোর যে নিয়মে চলার কথা সেভাবেই চালানো হচ্ছে। এখানে কোনো অনিয়ম হচ্ছে না।’
এ বিষয়ে জানতে চাইলে উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা কর্মকর্তা মুহাম্মদ আনোয়ার হোসাইন বলেন, ‘সততা স্টোর যে নিয়মে চলার কথা সেভাবে পরিচালনার জন্য আমি ইতিমধ্যে প্রধান শিক্ষককে মৌখিকভাবে নির্দেশনা দিয়েছি। কোনো অনিয়ম হলে ব্যবস্থা নেওয়া হবে। ’