প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা অধ্যাপক ডা. বিধান রঞ্জন রায় পোদ্দার বলেছেন, প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষকদের ১৩ থেকে একবারে দশম গ্রেডে আসার কোনো সুযোগ নেই। সে কারণে তাঁদের এই মুহূর্তে আন্দোলনে যাওয়াও যৌক্তিক নয়। স্বাধীন দেশের নাগরিক হিসেবে তাঁদের কথা বলার সুযোগ আছে, কিন্তু আন্দোলনের নামে যদি বিদ্যালয়ে পড়ালেখা বিঘ্নিত হয়, সে ক্ষেত্রে সর্বোচ্চ কঠোর ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
আজ শনিবার দুপুরে প্রাথমিক শিক্ষা বিভাগের আয়োজনে খুলনা জেলা শিল্পকলা একাডেমিতে বিভাগের তিনটি জেলা সাতক্ষীরা, খুলনা ও বাগেরহাটের প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষকদের নিয়ে আয়োজিত মতবিনিময় সভা শেষে সাংবাদিকদের উপদেষ্টা এসব কথা বলেন।
প্রাথমিক ও গণশিক্ষা উপদেষ্টা বলেন, ‘বেশির ভাগ শিক্ষক মনে করেন, দশম গ্রেডের এই দাবি অযৌক্তিক। কেননা সবেমাত্র প্রধান শিক্ষকদের দশম গ্রেডে উন্নীত করা হয়েছে। সাধারণ শিক্ষকদের সংখ্যা অনেক বেশি, তাই এখনই এটি সম্ভব নয়। তবে তাঁরা যেন ১১তম গ্রেড পেতে পারেন, সে জন্য আমরা কাজ করছি। তাই তাঁদের এই মুহূর্তে আন্দোলনে যাওয়াও যৌক্তিক নয়।’
এর আগে সকাল থেকে প্রাথমিক শিক্ষার গুণগত মান উন্নয়নে শিক্ষা-সংশ্লিষ্ট অংশীজনের ভূমিকা বিষয়ে মতবিনিময় সভা অনুষ্ঠিত হয়।
সভায় বিশেষ অতিথি ছিলেন প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয়ের সচিব আবু তাহের মো. মাসুদ রানা, পরিচালক (পরিকল্পনা ও উন্নয়ন) মিরাজুল ইসলাম উকিল এবং জেলা প্রশাসক মো. তৌফিকুর রহমান।
খুলনার বিভাগীয় কমিশনার (ভারপ্রাপ্ত) মো. ফিরোজ শাহের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে স্বাগত বক্তব্য দেন প্রাথমিক শিক্ষা অধিদপ্তরের খুলনা বিভাগীয় উপপরিচালক ড. মো. শফিকুল ইসলাম। অনুষ্ঠানে প্রবন্ধ পাঠ করেন খুলনা জেলা প্রাথমিক শিক্ষা কর্মকর্তা শেখ অহিদুল আলম, বাগেরহাট জেলা প্রাথমিক শিক্ষা কর্মকর্তা নাসরীন আকতার ও সাতক্ষীরা জেলা প্রাথমিক সহকারী শিক্ষা কর্মকর্তা মো. মোজাফফর উদ্দীন।