যশোরে দুই পক্ষের সংঘর্ষে চঞ্চল গাজী (২৭) নামের এক যুবক নিহত হয়েছেন। এ সময় আহত হয়েছে উভয় পক্ষের ছয়জন। আজ বৃহস্পতিবার বেলা ১১টার দিকে সদর উপজেলার ডাকাতিয়া গ্রামে এই ঘটনা ঘটে। নিহত চঞ্চল গাজী ডাকাতিয়া গ্রামের মধু গাজীর ছেলে। এদিকে এই ঘটনায় তিনজনকে হেফাজতে নিয়েছে পুলিশ।
নিহত চঞ্চল গাজীর স্বজনেরা জানান, প্রতিবেশী রবিউল ও বেলাল মাদক কারবারে জড়িত। তাঁরা চোর সিন্ডিকেট পরিচালনা করেন। আজ সকালে রবিউল একজনকে বাড়ির সামনে ডেকে নিয়ে মাদক লেনদেন করছিলেন। এ সময় চঞ্চলের বাবা মধু গাজী বাধা দেন। এ নিয়ে তর্ক শুরু হলে সেখানে চঞ্চল ও তাঁর ভাই তুহিন আসেন। তখন রবিউল তাঁর ছেলে মুন্না ও ভাই বেলালসহ লোকজনকে ডেকে আনেন।
একপর্যায়ে তাঁদের মধ্যে সংঘর্ষ হয়। এ সময় লাঠিসোঁটা ও ধারালো অস্ত্রের আঘাতে দুই পক্ষের সাতজন আহত হয়। পরে স্থানীয় বাসিন্দারা তাঁদের উদ্ধার করে যশোর জেনারেল হাসপাতালে নিলে চিকিৎসক চঞ্চলকে মৃত ঘোষণা করেন। তাঁর শরীরে একাধিক ধারালো অস্ত্রের আঘাত ছিল। অন্য আহত ব্যক্তিদের হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।
তবে প্রতিপক্ষ রবিউল ইসলামের দাবি, তিনি ইন্টারনেট ব্যবসায়ী পিয়াসের সঙ্গে লাইনের সমস্যা নিয়ে কথা বলছিলেন। এ সময় মধু গাজী এসে গালিগালাজ ও চড়থাপ্পড় মারতে শুরু করেন। এরপর গোলযোগের সূত্রপাত হয়। তিনি প্রতিবেশী সাদ্দামের বাড়িতে ঢুকে পড়েন। এ সময় সাদ্দাম ধারালো অস্ত্র নিয়ে মারপিটে জড়িয়ে পড়েন।
এ বিষয়ে যশোর কোতোয়ালি থানার পরিদর্শক (তদন্ত) কাজী বাবুল হোসেন বলেন, ‘কী নিয়ে সংঘর্ষ হয়েছে, তা খতিয়ে দেখা হচ্ছে। তবে এই ঘটনায় অভিযুক্ত তিনজনকে হেফাজতে নেওয়া হয়েছে। আইনগত ব্যবস্থা প্রক্রিয়াধীন।’