যশোর-৫ (মনিরামপুর) আসনে জোটের শরিক জমিয়তে উলামায়ে ইসলাম বাংলাদেশের (একাংশ) জ্যেষ্ঠ যুগ্ম মহাসচিব মুফতি রশীদ বিন ওয়াক্কাসকে বিএনপির পক্ষ থেকে মনোনয়ন দেওয়ায় টানা দুই দিন ধরে বিক্ষোভ চলছে। পূর্বঘোষিত বিএনপি নেতার মনোনয়ন প্রত্যাহার করে মুফতি রশীদ বিন ওয়াক্কাসকে জোটের প্রার্থী করায় এই বিক্ষোভ কর্মসূচি পালন করা হয়।
জোটের প্রার্থীকে বাদ দিয়ে মনিরামপুর উপজেলা বিএনপির সভাপতি শহীদ মোহাম্মদ ইকবাল হোসেনকে পুনরায় বিএনপির মনোনয়ন দেওয়ার দাবি জানানো হয়। এই দাবিতে আজ শনিবার (২৭ ডিসেম্বর) বিকেলে পৌরসভা এলাকায় কাফনের কাপড় জড়িয়ে বিক্ষোভ মিছিল ও সমাবেশ করেছেন বিএনপির নেতা-কর্মীরা। মিছিলটি দলীয় কার্যালয় থেকে বের হয়ে প্রধান সড়ক প্রদক্ষিণ করে পুনরায় দলীয় কার্যালয়ে এসে শেষ হয়।
এর আগে, কাফনের কাপড় পরে যশোর-সাতক্ষীরা মহাসড়কে বসে পড়েন নেতা-কর্মীরা। সেখানে সংক্ষিপ্ত সমাবেশে করেন তাঁরা। সমাবেশ থেকে আগামীকাল রোববার উপজেলার ১৭টি ইউনিয়নে ও পৌরসভার ৯টি ওয়ার্ডে একযোগে বিক্ষোভের ডাক দেন উপজেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক আসাদুজ্জামান মিন্টু। তাঁরা জোটের প্রার্থীকে বাদ না দিলে স্বতন্ত্র প্রার্থী দাঁড় করানোর হুঁশিয়ারি দেন।
উপজেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক আসাদুজ্জামান মিন্টু বলেন, টানা দুই দশকের বেশি সময় উপজেলা বিএনপি নেতা-কর্মীদের মূল্যায়ন করা হয়নি। হামলা-মামলা, নির্যাতনের শিকার হাজারো নেতা-কর্মী। কিন্তু সংসদ নির্বাচন এলেই শরিক দলকে ছেড়ে দেওয়া হয়। বারবার ছেড়ে দিলেও কেন্দ্রের সিদ্ধান্তে অবিচল থেকে শরিক দলের পক্ষে কাজ করেন নেতা-কর্মীরা। তবে এবার প্রাথমিক তালিকায় বিএনপির প্রার্থীকে মনোনয়ন দেওয়ায় উজ্জীবিত হয় তৃণমূল। হঠাৎ আসনটি শরিক দলকে ছেড়ে দেওয়া হয়। এতে ভেঙে পড়েছে বিএনপি ও তৃণমূল। এখন আসনটি বিএনপির হাতছাড়া হয়ে যাওয়ার শঙ্কা রয়েছে।