গাজীপুরের টঙ্গীতে হানিফ উদ্দিন (৫০) নামে এক কলেজশিক্ষককে মারধর করে পুলিশে দিয়েছেন শিক্ষার্থী ও স্থানীয়রা। পরে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনে দায়ের করা হত্যা মামলায় তাঁকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ। আজ রোববার বেলা ১১টার দিকে টঙ্গীর পাইলট স্কুল অ্যান্ড গার্লস কলেজ থেকে তাঁকে গ্রেপ্তার করা হয়।
গ্রেপ্তার হানিফ উদ্দিন প্রতিষ্ঠানটির কলেজ শাখার শিক্ষক ছিলেন। তিনি বঙ্গবন্ধু শিক্ষক পরিষদের সদস্য পদে দায়িত্ব পালন করেছেন। উত্তরার পশ্চিম থানায় দায়ের করা বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনে একটি হত্যা মামলায় ১১ নম্বর আসামি হিসেবে তাঁর নাম রয়েছে।
পুলিশ জানায়, আজ সকালে প্রতিষ্ঠানটির কয়েক শ শিক্ষার্থী, পার্শ্ববর্তী টঙ্গী সরকারি কলেজের আরও অর্ধশতাধিক শিক্ষার্থী এবং স্থানীয় লোকজন শিক্ষককে আটকে মারধর করেন। খবর পেয়ে পুলিশ শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানটি থেকে শিক্ষককে থানায় নিয়ে যায়।
টঙ্গী পাইলট স্কুল অ্যান্ড গার্লস কলেজের ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ হারুন অর রশিদ বলেন, ‘ঘটনার সময় আমি কলেজের শ্রেণিকক্ষেই ছিলাম। খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে গিয়ে দেখি, পুলিশ শিক্ষককে থানায় নিয়ে যাচ্ছে। তার বিরুদ্ধে নাকি বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনে হত্যা মামলা আছে।’
টঙ্গী পশ্চিম থানা-পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোহা. হারুন অর রশিদ বলেন, শিক্ষককে ৫৪ ধারা অনুযায়ী গাজীপুর আদালতে পাঠানো হয়েছে। সেই সঙ্গে উত্তরা পশ্চিম থানা-পুলিশকে অবহিত করা হয়েছে। তারা তাঁকে আদালত প্রাঙ্গণ থেকে গ্রেপ্তার দেখাবে।