ভারতীয় সীমান্তরক্ষী বাহিনী (বিএসএফ) হাত-চোখ বেঁধে ১৩ ব্যক্তিকে ফেনী সীমান্ত দিয়ে বাংলাদেশে ঠেলে দিয়েছে। আজ শুক্রবার সকাল ৯টার দিকে ছাগলনাইয়া উপজেলার মথুয়া সীমান্তের একটি পরিত্যক্ত ঘর থেকে তাদের উদ্ধার করে বর্ডার গার্ড বাংলাদেশ (বিজিবি)।
উদ্ধার হওয়া ব্যক্তিদের মধ্যে চারজন পুরুষ, তিনজন নারী ও ছয়টি শিশু রয়েছে। সবাই কুড়িগ্রামের বাসিন্দা। এখানে তিনটি পরিবারের সদস্য ছাড়াও এক ব্যক্তি একা ছিলেন।
বিজিবির পাঠানো এক বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়, ছাগলনাইয়া বিওপির নিয়মিত টহল দল মথুয়া সীমান্ত এলাকায় একটি পরিত্যক্ত ঘরে ১৩ ব্যক্তিকে দেখতে পায়। জিজ্ঞাসাবাদে তারা জানায়, কাজের সন্ধানে বিভিন্ন সময়ে তারা অবৈধভাবে ভারতে গিয়েছিল। গতকাল বৃহস্পতিবার রাত সাড়ে ১২টার দিকে বিএসএফ সদস্যরা তাদের হাত ও চোখ বেঁধে বাংলাদেশে পুশ ইন করে। রাতের অন্ধকার, দুর্যোগপূর্ণ আবহাওয়া ও অপরিচিত পরিবেশে তারা ওই পরিত্যক্ত ঘরে আশ্রয় নেয়।
উদ্ধার ব্যক্তিরা হলো মো. আলতাফ, মোমিনা বেগম, মো. আমিনুল ইসলাম, ঊর্মি বেগম, মোমিনুল হক, শেফালী বেগম, মো. ইশরাক হোসেন ও তিন মাস থেকে ১৩ বছর বয়সী ছয়টি শিশু।
বিজিবি জানায়, পরিচয় নিশ্চিত হওয়ার পর উদ্ধার ব্যক্তিদের ছাগলনাইয়া থানায় হস্তান্তর করা হয়। স্থানীয় প্রশাসনকে বিষয়টি জানানো হয়েছে। পুশ ইনের ব্যাপারে বিজিবির কোম্পানি কমান্ডার বিএসএফ কমান্ডারকে মৌখিক প্রতিবাদ জানিয়েছেন এবং ব্যাটালিয়ন পর্যায়ে প্রতিবাদপত্র পাঠানোর উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে।
ছাগলনাইয়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. নজরুল ইসলাম বলেন, ‘বিজিবির কাছ থেকে নারী, পুরুষ, শিশুসহ ১৩ জনকে আমরা পেয়েছি। তাদের বিষয়ে খোঁজখবর নেওয়া হচ্ছে। বাংলাদেশি পরিচয় নিশ্চিত হলে পরিবারের জিম্মায় দেওয়া হবে। না হলে আইন অনুযায়ী ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’
বিএসএফ এর আগে ২১ মে ছাগলনাইয়া ও ফুলগাজী সীমান্ত দিয়ে নারী, শিশুসহ ২৪ বাংলাদেশিকে ফেরত পাঠায়।