নেপালের রাজধানী কাঠমান্ডুর থাপাথালি এলাকার ২৭ বছর বয়সী যুবক ‘ইঃ’। শখ থেকেই পায়ে হেঁটে বিশ্বভ্রমণে বের হয়েছেন এই যুবক। নেপাল ভারত, শ্রীলঙ্কা হয়ে এবার পৌঁছেছেন বাংলাদেশে। এরই মধ্যে টেকনাফ থেকে হেঁটে রওনা দিয়েছেন পঞ্চগড়ের তেঁতুলিয়ার উদ্দেশ্যে।
শনিবার সন্ধ্যা ৭টায় তিনি দিনাজপুরের ফুলবাড়ী উপজেলায় পৌঁছে রাতে জেলা পরিষদ ডাকবাংলোতে ছিলেন তিনি। এরপর আজ রোববার সকাল সাড়ে ১০টায় ফুলবাড়ী থেকে সৈয়দপুর, নীলফামারী হয়ে পঞ্চগড়ের তেঁতুলিয়ার উদ্দেশ্যে রওনা দেন। এর আগে যাত্রা বিরতির পর শনিবার জয়পুরহাট, পাঁচবিবি, হাকিমপুর, বিরামপুর হয়ে ফুলবাড়ী পৌঁছান তিনি।
বাংলাদেশের টাঙ্গাইল থেকে তাঁর ভ্রমণ সঙ্গী হয়েছেন আলোকচিত্রী ও লেখক হোমায়েদ ইসহাক মুন। তাঁদের সঙ্গে ফুলবাড়ী থেকে যুক্ত হয়েছেন ঢাকার ফ্যাশান ডিজাইনার সবুজ কুমার বর্মন।
১৮ সেপ্টেম্বর টেকনাফের শাহপরীর দ্বীপ থেকে পায়ে হেঁটে পঞ্চগড়ের তেঁতুলিয়া-বাংলাবান্ধার উদ্দেশ্যে রওনা দেন তিনি। এরই মধ্যে তিনি পাঁচ বছরে তিনটি দেশে প্রায় ১৩ হাজার কিলোমিটার পথ পাড়ি দিয়েছেন বলে জানান। বাংলাদেশে ২৮ দিনে ৮০০ কিলোমিটার পথ পায়ে হেঁটে ফুলবাড়ী পৌঁছান। তিনি বাংলাবান্ধা হয়ে নেপাল যাবেন এবং নেপাল থেকে পরবর্তী ভ্রমণের রোডম্যাপ নির্ধারণ করবেন। তবে পায়ে হেঁটে বিশ্বভ্রমণের পরবর্তী পর্যায়ে তিনি দক্ষিণ এশিয়ার দেশগুলো ভ্রমণ করবেন বলে জানান।
নেপালি এই যুবক আরও আরও জানান, বাংলাদেশে তাঁর মোট ১ হাজার কিলোমিটার রাস্তা পায়ে হেঁটে ভ্রমণ শেষ হবে। এতে তাঁর চারটি দেশে মোট ১৪ হাজার কিলোমিটার পথ ভ্রমণ সম্পন্ন হবে।
পৃথিবীর সৌন্দর্য উপভোগ করতে বিশ্বভ্রমণে বের হয়েছেন নেপালি এই যুবক। নানা দেশের মানুষের সংস্কৃতি জানার আগ্রহ থেকে কাঠমান্ডু থেকে যাত্রা শুরু করেছিলেন। ছোটবেলা থেকেই ভ্রমণে আগ্রহী ‘ইঃ’। মাত্র ১৪ বছর বয়সে তিনি স্কুল ছাড়েন। এরপর ছেড়েছেন পরিবারও। তখন থেকে ভ্রমণই তাঁর জীবন বলে জানান এই যুবক।
বাংলাদেশের ভ্রমণসঙ্গী আলোকচিত্রী ও লেখক হোমায়েদ ইসহাক মুন ওই নেপালি তরুণের বন্ধু। জানতে চাইলে মুন জানান, কয়েক বছর আগে এভারেস্ট পর্বতের বেসক্যাম্পে গিয়ে ‘ইঃ’র সঙ্গে পরিচয় ও বন্ধুত্ব হয়। পায়ে হেঁটে নেপাল, ভারত, শ্রীলঙ্কা পাড়ি দেওয়ার পর বাংলাদেশ ভ্রমণের পরিকল্পনা করে তাঁকে জানালে, তাঁর সফর সঙ্গী হন তিনি।