দিনাজপুরের ফুলবাড়ী পৌর এলাকার বারোকোনা নামক স্থানের আঞ্চলিক সড়ক ঘেঁষে দীর্ঘদিন থেকে পড়ে আছে প্রস্তাবিত এলপিজি গ্যাস পাম্পের খালি ট্যাংক। এতে চরম দুর্ভোগে পড়ছেন পথচারীরা ও চালকেরা। যেকোনো সময় ঘটতে পারে বড় ধরনের দুর্ঘটনা। আতঙ্কে রয়েছেন পথচারীসহ ছোট-বড় যানবাহন চালকেরা।
সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায়, পৌর এলাকার বারোকোনা নামক স্থানের দিনাজপুর-ফুলবাড়ী-গোবিন্দগঞ্জ আঞ্চলিক সড়ক ঘেঁষে ফুটপাত দখল করে দীর্ঘদিন থেকে একটি সাদা বড় আকৃতির ফাঁকা গ্যাসের ট্যাংক রাখা হয়েছে। এতে পথচারীদের চলাচলের ফুটপাত বন্ধ হয়েছে। পথচারীরা আতঙ্ক নিয়ে ব্যস্ততম সড়কের ওপর দিয়েই চলাচল করছেন। চলাচলরত বিভিন্ন যানবাহনগুলো প্রায়সময় ওই তেলের ট্যাংক ঘেঁষে চলাচল করছে। দ্রুতগামী ওই যানবাহনগুলো প্রায় সময় অপর যানবাহনকে সাইড দিতে গিয়ে ওই ট্যাংকটির কাছে এসে নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে ফেলছেন।
জানা গেছে, ওই স্থানে প্রস্তাবিত এলপিজি গ্যাসের পাম্পের কাজ করছেন সাবেক সংসদ সদস্য আলহাজ মনছুর আলী সরকার। এলপিজি গ্যাসের পাম্পের জন্য আনা হয়েছে ওই ট্যাংকটি। ট্যাংকটি স্থাপনের জন্য দীর্ঘদিন থেকে ব্যস্ততম সড়ক ঘেঁষে রাখা রয়েছে।
পথচারীরা জানান, ব্যস্ততম ওই সড়কে দ্রুতগামী যানবাহনের ভয়ে এমনিতেই সড়কে পা রাখা যায় না। তার ওপর বড় আকৃতির একটি ট্যাংক ফুটপাত দখল করে সড়ক ঘেঁষে রাখা হয়েছে। প্রায় সময় ওই স্থানে দুর্ঘটনা ঘটে থাকে। শঙ্কা করা হচ্ছে ওই ট্যাংকটির কারণে যেকোনো সময় বড় ধরনের দুর্ঘটনা ঘটতে পারে।
রিকশা ভ্যান চালক খতিবুর রহমান বলেন, ‘গ্যাসের ট্যাংকটির কারণে বড় গাড়িগুলোকে ওইস্থানে সাইড দেওয়া যায় না। অনেক সময় ভয়ে আমরা নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে ফেলছি।’
ট্রাক চালক শফিকুল ইসলাম বলেন, ‘সড়ক ঘেঁষে যে ট্যাংকটি রাখা হয়েছে সেটি সরিয়ে না নিলে যেকোনো সময়ে আমরা মারাত্মক দুর্ঘটনার কবলে পড়তে পাড়ি।
পৌর মেয়র মো. মাহমুদ আলম লিটন বলেন, এটি সড়ক ও জনপদের ব্যাপার সেহেতু বিষয়টি তারাই দেখবেন।
উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মো. রিয়াজ উদ্দিন বলেন, সড়কের উন্নয়নকাজ ব্যতীত সড়ক দখল করে কোনো স্থাবর সড়কে রাখা যাবে না। যদি রাখা হয় তবে সড়ক ও জনপদ ব্যবস্থা নিবে।
দিনাজপুর সড়ক ও জনপথের নির্বাহী প্রকৌশলী সুনিতি চাকমা বলেন, ‘বিষয়টি আমার জানা ছিল না। তবে যদি কেউ সড়কের ওপর কিছু রেখে চলাচলে বিঘ্ন ঘটায় তবে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।